সঙ্গীত সমালোচনা...

গানের পূর্ণতা
রবীন্দ্রসদনে সঙ্গীত পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিল নীলা মজুমদারের একক গানের অনুষ্ঠান। রজনীকান্ত, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলালের গান। বহু দিন পরে রবীন্দ্রসদনে এমন ভিড় দেখে মনে হতেই পারে, পুরনো ধারার এমন গানের প্রতি শ্রোতাদের আগ্রহ এতটুকুও কমেনি, বরং বেড়েছে। শুরু হল ‘সরস্বতী স্তোত্র’ দিয়ে। এর পর দু’টি রজনীকান্তের গান। প্রথম গানটি সম্পর্কে শিল্পী জানালেন, ইতিপূর্বে রেকর্ডে নাকি গানটি প্রকাশিত হয়নি। গানটি হল ‘তুই পূজার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখিস’। পরে ‘তোমারি দেওয়া প্রাণে’। অতুলপ্রসাদের গানগুলি হল ‘তুমি মধুর অঙ্গে’, ‘জল বলে চল’, ‘নিদ নাহি আঁখিপাতে’, ‘রুমক ঝুমক রুম’ (লখনউ ঘরানার ঠুমরি) গানটি। রাগ মিশ্র খাম্বাজ। তাল ত্রিতাল। এইগুলি বিশ্লেষণ করে এবং খাম্বাজ রাগের চলনটি একটু তলিয়ে গানটি গাওয়া হয়েছে। ফলে শ্রোতাদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ‘ওগো নিঠুর দরদী’ গানটি করুণ রস নিবেদিত। দ্বিজেন্দ্রলালের ৬ খানি গান গাইলেন তিনি। ‘তুমি যে প্রাণের বঁধু’, ‘আমরা মলয় বাতাসে’, ‘আজি এসেছি বঁধু হে’ ‘বেলা বয়ে যায়’, ‘যদি এসেছ বঁধু হে’ প্রভৃতি। বার বার গানের অনুরোধ এসেছে। শিল্পী কাউকেই নিরাশ করেননি।

রয়ে গেল সুর
সম্প্রতি বিভিন্ন পর্যায়ের বাংলা গানে শ্রোতাদের ভূয়সী প্রশংসা পেলেন নন্দিনী চৌধুরী। রবীন্দ্রসঙ্গীত, আধুনিক এবং লোকগীতিতেও তিনি বেশ রপ্ত। ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার’, ‘ও মাঝিরে’, ‘বধুয়া আমার চোখে’, ‘তু লাল পাহাড়ির দেশে যা’ একের পর এক গানে শিল্পীর পারদর্শিতায় মুগ্ধ হলেন শ্রোতারা। অনুষ্ঠানের আয়োজক ‘ভাল আছি’।

শুধু বাঁশি শুনেছি
সম্প্রতি ‘শুধু বাঁশি শুনেছি’ এক সান্ধ্য সঙ্গীতানুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুতপা ভট্টাচার্য। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র, শ্রীকান্ত আচার্য। পরবর্তী পর্যায়ে শিল্পী শোনান রবীন্দ্রসঙ্গীত যার মধ্যে ‘এখনও তারে চোখে দেখিনি’ এবং ‘আমি রূপে তোমায়’ শ্রোতাদের ভাল লাগে। এর পর নিজের গাওয়া কিছু আধুনিক বাংলা গান শোনান। নতুন বাংলা গান যে শ্রোতাদের ভাল লাগছে তা এদিন সুতপার পরিবেশনায় বোঝা যায়। যার মধ্যে ‘আমায় ভেবে যদি’, ‘আবার নতুন কোনও ভোরে’, এবং ‘হৃদয় আমার যদি’ প্রশংসা পায় শ্রোতাদের। শেষে শিল্পী পাঁচটি গজল পরিবেশন করেন। শিল্পীর চর্চিত ও সুরেলা কণ্ঠে প্রত্যেকটি গান শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। শিল্পীকে যথাযথ সহযোগিতা করেন সৌমিত্র চট্টোপাধায়, শুভাশিস রায়, পল্লোল বিশ্বাস প্রমুখ। আয়োজক ড্রিমসিটি এবং কসমিক।

দক্ষ গায়কি
সম্প্রতি শিশির মঞ্চে ‘আনন্দ বসন্ত সমাগমে’ একক রবীন্দ্রানুষ্ঠানের শিল্পী ছিলেন সুব্রত সেনগুপ্ত। গাইলেন চোদ্দোটি গান। এগুলির মধ্যে ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে’, ‘যে রাতে মোর দুয়ারগুলি’, ‘এ কী লাবণ্যে’ মন ছুঁয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও তিনি গাইলেন প্রায় তেরোটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’, ‘ও যে মানে না মানা’, ‘যদি জানতেম আমার’, ‘তুমি রবে নীরবে’ গানগুলিতে নিজের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। সংযোজনায় ছিলেন সুকুমার ঘোষ। তবলা, খোল এবং পাখোয়াজে যথাযথ সঙ্গত করেন গৌতম চৌধুরী। কী বোর্ডে রানা দত্ত, গিটারে স্নিগ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়, পারকাসনে মানস চট্টোপাধ্যায়। আয়োজক সপ্তস্বরা।

পরিপূর্ণ আধ্যাত্মিক পরিবেশ
সম্প্রতি রামকৃষ্ণ মিশন ইন্সটিটিউট অব কালচার আয়োজন করেছিল শান্তনু রায়চৌধুরীর একক গানের আসর। এ দিন শুরুতে শিল্পীর নিবেদনে ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি’ এবং ‘মহাবিশ্বে মহাকাশে’ গান দু’টি আধ্যাত্মিক পরিবেশ গড়ে তোলে। এর পর হিন্দি ভাবানুবাদে ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’, ‘পিনাকেতে লাগে টঙ্কার’ গানগুলি শোনালেন শিল্পী। বাহার-এর ওপর ‘অবু হমে দিল কা তারানা’ বন্দিশটিতে শিল্পীর সঙ্গীতবোধ ও চর্চার মুন্সিয়ানা প্রকাশ পায়। এ দিন হিন্দি ভজন ‘মেরে প্যায়ারে শ্রীরামকৃষ্ণ’ ও ‘তুম হো অনন্ত’ যা মা সারদার উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হল। এর পরে শিল্পীর সঙ্গে শ্রোতারাও গেয়ে ওঠেন ‘আগুনের পরশমণি’। অনুষ্ঠানের ইতি টানেন শিল্পী নিজেরই জনপ্রিয় গান ‘আল্লা ভগবান’ গেয়ে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদ্দেশ্যে লেখা এই গানটি স্বামীজির জীবনের মূল মন্ত্র ছিল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.