পূর্ব কলকাতা
১৩ নম্বর ওয়ার্ড
পরিষেবায় শূন্যস্থান
দু’বছরে এক বারও সাধারণ সভা হয়নি। কোনও শংসাপত্র নিতে হলে পুরভবন বা পাশের ওয়ার্ডের অফিসে যেতে হয়। ওয়ার্ড জুড়ে ঝোপঝাড়। নিয়মিত আবর্জনা সাফ হয় না। বেশ কিছু রাস্তায় আলো নেই। কয়েকটি রাস্তার একাধিক জায়গায় খারাপ অবস্থা। বিধাননগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে এমনই নানা অভিযোগ বাসিন্দাদের। সমস্যার কথা স্বীকার করলেও পুরসভার দাবি, দৈনন্দিন পরিষেবায় কোনও ঘাটতি হয়নি।
কেন এই অবস্থা?
২০১১-এ এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের গীতা বিশ্বাস মারা যান। তার পরে আর এই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হয়নি। পরিষেবা বজায় রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয় পাশের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা চেয়ারপার্সন পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায়কে। অশেষবাবুর দাবি, কাউন্সিলর সার্টিফিকেট থেকে দৈনন্দিন পরিষেবা সবই বজায় রাখা হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা চেষ্টা করলেও কাউন্সিলর না থাকায় পরিষেবার মান বজায় থাকছে না। সার্বিক উন্নয়নে সল্টলেকের অন্যান্য ওয়ার্ডের থেকে এই ওয়ার্ড পিছিয়ে পড়েছে।
এফডি, এফই, এফএফ এবং এফসি ব্লক নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডেই প্রয়াত প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর বাড়ি। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত-সহ একাধিক ভিআইপি এখানে বাস করেন। পুরসভার দাবি, এই ওয়ার্ডের উপরে বাড়তি নজর দেওয়া হয়। কিন্তু এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা গীতা মহাপাত্র বলেন, ‘‘চার দিকে ময়লার স্তূপ। নিয়মিত সাফ হয় না। অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু জল জমে যায়। এ বার গ্রীষ্মে পানীয় জল কিনতে অনেক খরচ হয়েছিল। সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হয়। ওয়ার্ডের বেশ কিছু জায়গায় আলো নেই। রাতে বেরোতে ভয় করে।’’
এফই ব্লকের বাসিন্দা সমাপ্তি সান্যালের কথায়: ‘‘বাসিন্দারা একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। বেশ কিছু রাস্তায় আলো নেই। পার্কে বেশ কিছু আলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গালিপিট নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। তাই অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে নিয়মিত আবর্জনাও সংগ্রহ করা হয় না। বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি।’’ ওয়ার্ড কমিটির প্রাক্তন সদস্য রেবা দত্ত বললেন, ‘‘বাসিন্দাদের নিয়মিত নানা প্রয়োজন হয়। কিন্তু কাউন্সিলর না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় ম্যানহোল খোলা। বার বার বলেও কাজ হচ্ছে না। এ ভাবেই দু’বছর চলছে।’’
গত পুর-নির্বাচনে প্রয়াত কাউন্সিলর গীতা বিশ্বাস সামান্য কিছু ভোটে তৃণমূল প্রার্থী বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ছিলেন। বাণীব্রতবাবু বলেন, ‘‘কাউন্সিলর না থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। গীতাদির মৃত্যুর পরে ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট, চেয়ারপার্সন পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায়-সহ পুরপ্রশাসনের একাধিক ব্যক্তি এবং আমরা পরিষেবা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পুর-পরিষেবা একে বারে ভেঙে পড়েছে এ অভিযোগ ঠিক নয়।’’


বিধাননগরের মহকুমাশাসক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, এই ওয়ার্ডে প্রায় ছ’হাজার ভোটার আছেন। আগামী ১০ অগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা বেরোবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচনের আভাস দিয়েছেন।
চেয়ারপার্সন পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখন অনেক বেশি কাজ হচ্ছে। শিশু উদ্যান থেকে রাস্তা মেরামতি সব কাজই হয়েছে। বাসিন্দাদের সব দাবি মেটানো হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ সব অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর থাকা দরকার।” ভয় করে।’’
এফই ব্লকের বাসিন্দা সমাপ্তি সান্যালের কথায়: ‘‘বাসিন্দারা একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। বেশ কিছু রাস্তায় আলো নেই। পার্কে বেশ কিছু আলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গালিপিট নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। তাই অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে নিয়মিত আবর্জনাও সংগ্রহ করা হয় না। বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি।’’ ওয়ার্ড কমিটির প্রাক্তন সদস্য রেবা দত্ত বললেন, ‘‘বাসিন্দাদের নিয়মিত নানা প্রয়োজন হয়। কিন্তু কাউন্সিলর না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় ম্যানহোল খোলা। বার বার বলেও কাজ হচ্ছে না। এ ভাবেই দু’বছর চলছে।’’

গত পুর-নির্বাচনে প্রয়াত কাউন্সিলর গীতা বিশ্বাস সামান্য কিছু ভোটে তৃণমূল প্রার্থী বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ছিলেন। বাণীব্রতবাবু বলেন, ‘‘কাউন্সিলর না থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। গীতাদির মৃত্যুর পরে ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট, চেয়ারপার্সন পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায়-সহ পুরপ্রশাসনের একাধিক ব্যক্তি এবং আমরা পরিষেবা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পুর-পরিষেবা একে বারে ভেঙে পড়েছে এ অভিযোগ ঠিক নয়।’’ বিধাননগরের মহকুমাশাসক মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, এই ওয়ার্ডে প্রায় ছ’হাজার ভোটার আছেন। আগামী ১০ অগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা বেরোবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচনের আভাস দিয়েছেন। চেয়ারপার্সন পারিষদ অশেষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখন অনেক বেশি কাজ হচ্ছে। শিশু উদ্যান থেকে রাস্তা মেরামতি সব কাজই হয়েছে। বাসিন্দাদের সব দাবি মেটানো হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ সব অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর থাকা দরকার।”

ছবি: শৌভিক দে




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.