ক্রিকেটে হালফিলে এমন সব ঘটনা দেখি, বা শুনি, যেগুলো আগে এত বেশি ঘটত না। সে দিন অ্যাসেজে দেখলাম স্টুয়ার্ট ব্রড পরিষ্কার এলবিডব্লিউ হয়েও ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকল। শুক্রবার আবার বিরাট কোহলি ঠায় দাঁড়িয়ে রইল তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত জানার পরেও। তর্কাতর্কিও করেছে আম্পায়ারদের সঙ্গে। এখন ক্রিকেট মাঠে এমন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এসে গিয়েছে যে, মাথা ঠান্ডা রাখা সব সময় সম্ভব হয় না। বিশেষ করে কোহলির মতো ক্রিকেটারদের। যারা খেলাটা নিয়ে প্রচন্ড প্যাশনেট, যাদের কাছে খেলাটা জীবন-মরণ যুদ্ধ। আসলে কী হয়, ক্রিকেট টিভিতে এত বেশি আসে যে, সারা বিশ্বের প্রত্যাশার একটা চাপ ঘাড়ে চেপে বসে। যার জন্য নেতিবাচক কিছু মেনে নিতে ক্রিকেটারদের অসুবিধে হয়।
তা হলে কোহলি মাথা ঠান্ডা রাখবে কী করে?
আমার মনে হয়, একটা পর্যায়ের পর নিজেকে খেলাটা থেকে দূরে সরিয়ে আনতে হবে। যেটাকে আমরা বলি ‘ডিট্যাচমেন্ট’। তার মানে এই নয় যে, একেবারে খেলা থেকে মন সরিয়ে দাও। কিন্তু এতটাও ঢুকে পোড়ো না যে, সামান্য ঘটনাও তোমাকে প্রভাবিত করে ফেলতে পারে। আরও বুঝিয়ে বলি। বিরাটের ভাবনাটা হওয়া উচিত, নিজের সেরাটা দেব। কিন্তু যেটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করব না। বা আমার কাজের ফল কী হল, সেটা নিয়ে বেশি ভাবব না। সব সময় বর্তমান নিয়ে ভাবব। পরে কী হবে না হবে, তা নিয়ে নয়।
যে ব্যাপারটা ধোনির মধ্যে দেখি। তার আগে দেখেছি সহবাগের মধ্যে। স্যর ভিভ রিচার্ডসের মধ্যে। ধোনি যেমন বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট জিতেও অত শান্ত থাকতে পেরেছিল। সহবাগ যেমন রেজাল্ট-টেজাল্ট নিয়ে অত ভাবত না বলেই তো ও রকম নির্লিপ্ত ভাবে খেলতে পারত।
বিরাটকে তাই বলব, ধোনির এই মনস্তাত্বিক-মডেল যত তাড়াতাড়ি পারো প্র্যাকটিস করা শুরু করে দাও। |
বিরাট-পর্ব |
|
|
|
বিষোদ্গার |
বিরক্তি |
বিস্ফোরণ |
|
হারারেতে শুক্রবার বিতর্কিত ক্যাচে তাঁকে আউট দেওয়ায় মেজাজ সামলাতে পারলেন না ভারতের অস্থায়ী অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ভারতীয় ইনিংসের সাত নম্বর ওভারে কাইল জার্ভিসের বল মিড-উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে ম্যালকম ওয়ালারকে ক্যাচ দিয়ে বসেন কোহলি। ক্যাচটা ‘ক্লিন’ ছিল কি না, ফিল্ডার নিজেই সেটা ঠিকঠাক বুঝতে পারেননি। টিভি রিপ্লে খুব পরিষ্কার ছবি না দেখালেও তৃতীয় আম্পায়ার কোহলিকে আউট দিয়ে দেন। তাঁর সিদ্ধান্ত দেখেও ক্রিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন কোহলি। দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ার ওয়েন চিরম্ব এবং ব্রুস অক্সেনফোর্ডের সঙ্গে আক্রমণাত্মক কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অন-ফিল্ড আম্পায়াররা ওয়াকি-টকিতে তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে আউটের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার পরেও মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন না কোহলি। কিছু পরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দৃশ্যত অসন্তুষ্ট ক্যাপ্টেন। ১৮ বলে কোহলি তখন ছিলেন ১৪ রানে। |