কর্মীর অভাবে প্রায় ন’মাস ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বাণীবন কল্যাণব্রত সঙ্ঘ গ্রন্থাগার। লক্ষ লক্ষ টাকার বই ও আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে। জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় মিত্র বলেন, “কর্মীরা অবসর নিয়েছেন। নতুন করে আর কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় গ্রন্থাগারটি বন্ধ হয়ে আছে। সরকার পুনরায় কর্মী নিয়োগ করলে গ্রন্থাগার চালু হবে।” |
বন্ধ পাঠাগার, হতাশ পাঠক। ছবি: সুব্রত জানা। |
১৯৫৬ সালে বাণীবন গ্রামে কয়েক জন শিক্ষাবিদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এই গ্রন্থাগার। তাঁদেরই অন্যতম বছর পঁচাশির সুনীতি দাস বলেন, “অনেক কষ্টে লোকের দোরে দোরে ঘুরে এই লাইব্রেরি তৈরি করেছিলাম। আমার বাড়ি থেকে বাবার প্রায় তিনশো বই, আর তিনটে আলমারি নিয়ে এসে পাঁচ কাঠা জমির উপর এই লাইব্রেরি তৈরি করি। ১৯৫৮ সালে তৎকালীন বিধায়ক অবনী বসুর সাহায্যে লাইব্রেরির অনুমোদন বের করি। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা লাইব্রেরি আসত। জমজমাট হয়ে থাকত লাইব্রেরি চত্বরটা।”
সুনীতিবাবু জানান, ক্রমে বড় হচ্ছিল লাইব্রেরিটি। পাঠক বাড়ল, বইও বাড়ল। তাঁর কথায়, “এখন যখন দেখি, লাইব্রেরি চত্বরটা ধুলো ভরা, খারাপ লাগে।” স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ্ত চৌধুরীর কথায়, “এলাকার দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের কাছে লাইব্রেটির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। তাদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে।” শঙ্কর চক্রবর্তী নামে আর এক জন বলেন, “নানা রকম বই যে ভাবে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে, তা দেখে খুবই খারাপ লাগে। অবিলম্বে লাইব্রেরিটি চালু করতে পারলে ভাল।” |