সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিলেন আরামবাগ আদালতের বিচারক। ওই সংস্থার আধিকারিক দেবযানী মুখোপাধ্যায়, অরবিন্দ চৌহান, মনোজকুমার নাগেল ও অরবিন্দ দাস ওরফে বুম্বাকে পাঠানো হয়েছে ১০ দিনের জেলহাজতে। আরামবাগ থানায় গত ২০ এপ্রিল একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্তদের মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সৌমিত্র গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা জড়ানো হয়েছে। অন্য দিকে, সরকার পক্ষের আইনজীবী অমিতাভ গুহ বলেন, “সুদীপ্ত সেনের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। দেবযানী-সহ বাকি অভিযুক্তেরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। তা খারিজ করেছেন বিচারক।” জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত সেনকে চুঁচুড়া পুলিশের হেফাজতে রেখে বিশেষ তদন্তকারী দল জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। |
...যা হয়েছেন। শুক্রবার আরামবাগে মোহন দাসের তোলা ছবি। |
পুলিশ জানায়, সারদা গোষ্ঠীর আরামবাগ শাখা অফিসটিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আনন্দ অধিকারী নামে সেখানকার এক এজেন্ট গত ২০ এপ্রিল আরামবাগ থানায় লিখিত আর্জি পেশ করে জানান, তাঁর গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ওই মাসের ২২ তারিখ পুলিশ সারদা গোষ্ঠীর আরামবাগ শাখার ম্যানেজার শেখ মনসুর আলিকে গ্রেফতার করে। কাগজপত্র, কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়। মনসুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুদীপ্ত-সহ বাকিদের নামেও মামলা দায়ের হয়। প্রথম দফার শুনানি হয় গত ২১ জুন। ওই দিন আদালতে তোলা হয় অরবিন্দকুমার চৌহান, মনোজকুমার নাগেল এবং অরবিন্দ দাস ওরফে বুম্বাকে। সেই শুনানিতে তাঁদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ দেবযানীকে আরামবাগ আদালতে আনা হয়। অভিযুক্তদের দেখতে বহু মানুষ আদালতের সামনে ভিড় জমান। ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। অন্য একটি গাড়িতে আনা হয় সুদীপ্তকে। চেহারায় ধকলের ছাপ স্পষ্ট। কোনও দিকে না তাকিয়ে খানিকটা কুঁজো হয়ে হেঁটে তিনি চলে যান আদালতের লকআপের দিকে। এর ঘণ্টা খানেক আগে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে আনা হয়েছিল বাকি অভিযুক্তদের। |