|
|
|
|
মাওবাদী-রোধে সাঁড়াশি চাপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস নেতাদের মিছিলে হামলা ও গণহত্যা, ঝাড়খণ্ডে পাকুড়ের পুলিশ সুপারকে খুন, ঔরঙ্গাবাদে পাঁচ পুলিশকর্মীর হত্যা— একের পর এক সাফল্যে মাওবাদীদের মনোবল এখন তুঙ্গে। তাদের প্রকাশ্য সংগঠনগুলিও নতুন করে মাঠে নেমে পড়েছে। মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলিতে তো বটেই, খাস রাজধানীতেও নতুন উদ্যমে তারা প্রচার শুরু করে দিয়েছে সরকারি নীতি ও উন্নয়নমূলক কাজকর্মের বিরুদ্ধে। এর মোকাবিলায় সাঁড়াশি অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র। এক, মানবাধিকার সংগঠনের নামে কাজ চালানো এই সব সংগঠনের মাথাদের গ্রেফতার করা। এবং দুই, মাওবাদীদের বর্বরতা, হত্যালীলা ও তাদের উন্নয়নবিরোধী কাজকর্ম নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো।
দু’টি কাজের জন্যই ওই সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জড়ো করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকার ও তার পুলিশ-কর্তাদের। এই ধরনের মোট ১৮টি সংগঠনের কাজকর্ম আতসকাচের তলায় ফেলে খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, বিহারে মাওবাদী হামলার পর দেশের যে ২৭টি জেলায় মাওবাদী সমস্যার গভীরতা সব থেকে বেশি, সেই জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে গত কাল ও আজ দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী। ছিলেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্যের বিশেষ বাহিনীর কর্তারাও। পশ্চিমবঙ্গ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীকে বৈঠকে ডাকা হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তিনি যেতে পারেননি। ওই বৈঠকেই মাওবাদী মোকাবিলার সাঁড়াশি কৌশলের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
মাওবাদীদের একের পর সাফল্যকে পুলিশি ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মাওবাদী অধ্যুষিত জেলাগুলির পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির পুলিশ বাহিনী তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করলে এই ঘটনাগুলি ঘটতে পারত না। তার চেয়েও বড় কথা, মাওবাদীদের সাফল্য তাদের প্রকাশ্য সংগঠনগুলির মনোবল বাড়িয়েছে। নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংগঠনগুলি। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আটঘাট বেঁধে নামতে চাইছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা। কারণ অতীতে বিনায়ক সেনকে সন্দেহের বশে গ্রেফতার করে মুখ পড়েছিল সরকারের। যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় তিনি মুক্তি পান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ বার তাই সতর্ক। গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আগে থেকে যথেষ্ট প্রমাণ জড়ো করার উপরে এ বার বিশেষ জোর দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা। |
|
|
|
|
|