|
|
|
|
আজ আলফার শহিদ দিবস |
পাক এজেন্সির চাপ পরেশের উপর, দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পাক এজেন্সিগুলির চাপেই বিস্ফোরণ ঘটাতে উঠে পড়ে লেগেছে পরেশ বরুয়া। আলফা (স্বাধীন)-এর সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে এমনটাই বক্তব্য অসমের পুলিশ প্রধান জয়ন্তনারায়ণ চৌধুরীর।
আজ লখিমপুরের জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে আরও একটি গ্রেনেড। কার্বি আংলং-এর গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনাতেও কেপিএলটি নয়, আলফার পরেশপন্থীদের হাত রয়েছে বলেই পুলিশের দাবি। সেই সঙ্গে আজ মঙ্গলদৈ থেকেও পুলিশ একটি আইইডি উদ্ধার করেছে। |
|
আলফা হানার আশঙ্কায় অসমে জারি হয়েছে সতর্কতা। গুয়াহাটি স্টেশনে
চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল। উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি। |
আগামী কাল আলফার শহিদ দিবস। পরেশ বরুয়া সশস্ত্র সংগ্রামের হুমকি দিয়েছেন। উজানি অসম থেকে যুবকদের নিয়োগ করাও চলছে বলে পুলিশের কাছে খবর। ডিজি বলেন, “পরেশ বরুয়ার উদ্দেশ্য গুয়াহাটিতে অন্তত একটা গ্রেনেড ফেলে শিরোনামে আসা। পাকিস্তানের এজেন্সিরাই পরেশের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে। আমি পাক সরকারের কথা কিন্তু বলছি না। কিন্তু কিছু পাক এজেন্সি পরেশ বরুয়াকে মদত দিচ্ছে। তারাই পরেশবাহিনীকে ‘অ্যাকশন’-করে দেখাবার জন্য, অস্তিত্ব বোঝাবার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে।” ডিজি জানান, বিশেষ ভাবে নিযুক্ত ১০ থেকে ১২ জন যুবক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটাবার জন্য রাজ্যে এসেছে। তাঁর দাবি, “২৩ জুলাই লখিমপুরে জোড়া বিস্ফোরণ ও পরের দিন কার্বি আংলং বাজারের বিস্ফোরণে জড়িত অনেককেই আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আজ ডিব্রুগড়েও গ্রেনেড-সহ এক যুবক আত্মসমর্পণ করেছে। আশা করি নাশকতার ছক পুলিশ বানচাল করতে পারবে।” কার্বি আংলং বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক পুলিশ কর্মী-সহ ১০ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ আপাতত কামরূপ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। গুয়াহাটির ৯১টি স্থানে সিসি ক্যামেরা বসেছে। বাড়ানো হয়েছে টহলদারি, নজরদারি, চেকিং। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনীও। এরমধ্যেই মঙ্গলদৈয়ের পুনিয়ে সেতুর তলায় একটি ব্যাগ থেকে এ দিন প্রায় ৫ কিলো ওজনের একটি আইইডি উদ্ধার হয়েছে। |
|
|
|
|
|