কয়েকটি পরিবর্তনের পরে সিবিএফসি-র ছাড়পত্র পেয়েছে ‘কাঙাল মালসাট’। কিন্তু ‘সেন্সর’-এর ভয় এখনও পিছু ছাড়েনি। তাই সিনেমার সঙ্গে গ্রন্থাকারে যে চিত্রনাট্যটি প্রকাশিত হতে চলেছে সেখানেও শেষ মুহূর্তে সম্পাদনা করতে হয়েছে। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাষ্ট্রীয় সেন্সরশিপ ও কাঙাল মালসাট’ বিষয়ে এক আলোচনাসভার পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানালেন ছবিটির পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়।
|
প্রসঙ্গ ‘কাঙাল মালসাট’। আলোচনায় সুমন মুখোপাধ্যায়
নবারুণ ভট্টাচার্য ও কবীর সুমন। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের দৃশ্যটি সিনেমা থেকে বাদ গিয়েছে সেন্সর বোর্ডের আপত্তিতে। কিন্তু প্রকাশিতব্য চিত্রনাট্যে সেটি ছিল। সেই দৃশ্যটি এ বার চিত্রনাট্যেও পুরোটা থাকছে না। পরিবর্তনটা কেমন? “চিত্রনাট্যে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ দৃশ্য টিভিতে দেখতে দেখতে বিরক্ত ডিএস উঠে বাথরুমে চলে যায়। এখন চিত্রনাট্যে শুধু শপথের দৃশ্যটাই রাখা হয়েছে। বইয়ের উপর কোনও আগাম সেন্সর ব্যবস্থা নেই এটা জেনেও চিত্রনাট্যে অংশটি সম্পাদনা করতে হয়েছে আমাকে। কারণ আজকের পশ্চিমবঙ্গে বিষয়টি সমস্যা তৈরি করতে পারত। তা ছাড়া, আমার বক্তব্য প্রকাশের জন্য ওই অংশটি খুব জরুরিও ছিল না,” বলছেন পরিচালক।
শুক্রবার ত্রিগুণা সেন সভাঘরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত ওই আলোচনাসভায় কাঙাল মালসাট ও সেন্সরশিপ নিয়ে আলোচনা করেন সুমন মুখোপাধ্যায়, নবারুণ ভট্টাচার্য ও কবীর সুমন। যে পদ্ধতিতে এখন সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন চলে তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। |