কোথাও বাজ পড়ে, কোথাও বা ওভারলোড জনিত কারণে একের পর এক পুড়ে যাচ্ছে ট্রান্সফর্মার। অথচ ওই ট্রান্সফর্মার মেরামত কিংবা পাল্টানোর কোনও ব্যবস্থাই করছে না বিদ্যুৎ দফতর। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বহু গ্রাম অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বিদ্যুৎ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে স্থানীয় বেলেড়া গ্রামের ট্রান্সফর্মারটি ওভারলোড জনিত কারণে পুড়ে যায়। ওই ট্রান্সফর্মার থেকে একটি ধান ভাঙা কল-সহ শতাধিক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ট্রান্সফর্মার পাল্টানোর কোনও ব্যবস্থা করেনি বিদ্যুৎ দফতর। একই অবস্থা স্থানীয় কুলিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দাদেরও। ওই গ্রামে একটি ৬৩টি কেভি ট্রান্সফর্মার থেকে একটি ধান ভাঙা কল, চারটি সাব মার্সিবল পাম্প-সহ শতাধিক বাড়িতে সংযোগ রয়েছে। কিন্তু ট্রান্সফর্মারটি ৩০ জুন বাজ পড়ে পুড়ে যায় বলে দাবি বাসিন্দাদের। তার পর থেকেই ওই গ্রামে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বেলেড়া গ্রামের ভাস্কর মণ্ডল, কুলিয়াড়ার শ্রীধর দাসরা বলেন, “বিদ্যুৎ দফতর ট্রান্সফর্মারের ক্ষমতা না বাড়িয়েই একের পর এক সংযোগ দিয়ে চলেছে। ফলে ঘন ঘন পুড়ে যাচ্ছে ট্রান্সফর্মার। অথচ বার বার বিদ্যুৎ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও ট্রান্সফর্মার মেরামত কিংবা পাল্টানোর কোনও ব্যবস্থাই হচ্ছে না। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের।” সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের স্টেশন ম্যানেজার তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার গঙ্গাধর মালি বলেন, “শুধু ওই দুই গ্রামে নয়, এই মুহূর্তে ১২টি ট্রান্সফর্মার পুড়ে রয়েছে। তা পাল্টানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। ট্রান্সফর্মারের সঙ্গে সমতা রেখেই সংযোগ দেওয়া হয়। আসলে হুকিং-র জন্য ওভারলোড হয়ে ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাচ্ছে। ২৯টি ট্রান্সফর্মারের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।” |