বাবা ও স্ত্রীকে জেতাতে বৃহস্পতিবার দিনভর ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের পাশে গাছ তলায় কাটালেন কালচিনির তৃণমূল বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারি। দলীয় নেতা-কর্মীদের নানা নির্দেশের পাশাপাশি বাসিন্দারা ঠিকঠাক ভোট দিচ্ছেন কি না, তা নিয়েই ব্যস্ত থাকলেন। কালচিনি ব্লকের মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে প্রার্থী বিধায়কের স্ত্রী সাকিনা চম্প্রমারি। এলাকায় কালচিনি নয় নম্বর আসনে জেলা পরিষদ প্রার্থী বিধায়কের বাবা সুবীন চম্প্রমারি।
বিষয়টিকে ঘিরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশের মধ্যেই ক্ষোভ ছড়ায়। তাঁরা জানান, উনি গোটা কালচিনি এলাকার বিধায়ক। তিনি আবার রাজ্য সরকারের ডুয়ার্স টাক্স ফোর্সের চেয়ারম্যানও। কিন্তু দলের অন্য এলাকার প্রার্থীদের হয়ে ভোটের তদারকি করা বা এলাকায় ঘুরলেনই না। কেবল নিজের বাড়ির দুই প্রার্থীকে নিয়ে ভোটে ব্যস্ত থাকলেন। অন্যত্র যেখানে বিধায়ক, সাংসদের ভোটের দিন এলাকায় সবসময় ঘুরতে দেখা যায়। এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিধায়কের বক্তব্য, “দল জয়গাঁ এবং মেন্দাবাড়ি এলাকার দায়িত্ব দিয়েছিল। জয়গাঁ যেতে পারেনি, মেন্দবাড়িতেই ছিলাম।”
আশাবাদী বিধায়কের বাবা তথা জেলা পরিষদ প্রার্থী সুবীনবাবু। তবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা কংগ্রেস প্রার্থী অতুল সুব্বা নিজেই গাড়ি নিয়ে বুথে বুথে ঘোরেন। কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগ, “বাবা-স্ত্রীকে জেতাতে উইলসন এলাকার ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।”
ব্লকের প্রভাবশালী নেতা তথা জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থী মোহন শর্মাও এদিন জয়গাঁ দলীয় দফতরে সারা দিন বসে থাকলেন। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মোহনবাবুর এর আগে দু’বার জেলা পরিষদে জিতেছেন। তবে এ বার জেতা নিয়ে তিনি কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেন। তবে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, “জয়গাঁ জেলা পরিষদ আসনে যতই প্রার্থীই থাকুক, মোহন জিতবেনই।”
দিনের শেষে এলাকার আরএসপি নেতা রামকুমার লামা জানান, ভোট শান্তিতেই হয়েছে। মানুষ নিজেদের মত করে ভোট দিয়েছে। আশা করছি, চা বলেয়ে আমরা হারানো জমি ফেরৎ পাব। |