এলাকারই একটি বেসরকারি হোমের আবাসিক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় উদ্বিগ্ন অগমসিং নগর গ্রাম বিকাশ সমিতির সদস্যরা। প্রধাননগর থানার অধীনে থাকা মাটিগাড়া পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই এলাকার হোমটির দুই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করলেও ওই হোমের কাজকর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সমিতির সদস্যরা হোমে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নেন। বিশেষ করে সেখানে আরও ৯ জন কিশোরী রয়েছেন। এক নাবালিকার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলেও আর কারও সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া দরকার বলে তাঁরা মনে করেন। পুলিশকেও তাঁরা বিষয়টি জানাবেন। তা ছাড়া এলাকায় থাকা ওই হোমে কাদের কখন রাখা হচ্ছে তাদের কাজকর্ম গ্রাম বিকাশ সমিতির তরফেও নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেছেন। মাসে অন্তত ১ বার তারা এলাকার ওই হোমে গিয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখতে চান। হোম কর্তৃপক্ষকেও তারা এ কথা শীঘ্রই জানিয়েদেবেন। অন্যথায় তারা এলাকায় এভাবে হোম চালানোর বিরুদ্ধে বলে সাফ জানিয়ে দেন।
হোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ দিনও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দক্ষিণভারতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শাখা হিসাবে হোমটির দায়িত্বে রয়েছের সারা চাকো এবং তাঁর স্বামী স্যামুয়েল চাকো। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরা ওনাদেরই আত্মীয়। সে কারণেই তাদের বাঁচানোর চেষ্টা হতে পারে বলে একাংশের সন্দেহ। পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। হোমের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও খোঁজ খবর করা হচ্ছে।” স্যামুয়েল চাকো বলেন, “ওই নাবালিকা গত ৮ বছর ধরেই তাদের কাছে মানুষ হচ্ছে। হোমে আমাদের সন্তানের সঙ্গেই তারা থাকে, ঘোরে। তাঁর পিসি তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইছিল। কিন্তু মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে রাখতে কাজশিখে কিছু করতে বলেছিলাম। সে জন্যই অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে মনে হয়।” স্থানীয় অগমসিং গ্রাম বিকাশ সমিতির তরফে হোমের কাজকর্ম নজরদারির করতে চাইলে তাদের আপত্তি নেই বলেও স্যামুয়েল চাকো জানিয়েছেন। এ দিন গ্রাম বিকাশ সমিতির সদস্যদের একাংশ হোমে গেলে তাদের কাছে স্যামুয়েল চাকো জানিয়েছেন, অভিযোগ ঠিক নয় বলেই তাদের ধারণা। অগমসিং গ্রাম বিকাশ সমিতির সদস্য বুদ্ধদেব দেওয়ান, ধীরাজ ছেত্রীরা বলেন, “হোমের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগে এলাকার বদনাম হচ্ছে। সেখানে যাতে কোনও অপরাধমূলক কাজ না হয় সে জন্য এলাকার স্বার্থে আমাদেরও নজরদারি রাখতে হবে।”
|