খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত সিটু |
গাড়ির ধাক্কায় জখম তৃণমূলের ৬ সমর্থক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পথ দুর্ঘটনায় দলীয় ছয় কর্মী জখম হওয়ার পর সিটুর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যার চক্রান্তের অভিযোগ তুলল আইএনটিটিইউসি।
বৃহস্পতিবার সকালে হলদিয়া টাউনশিপের মাখনবাবুর বাজারে আইএনটিটিইউসি-র বন্দর শ্রমিকদের কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন দলের কর্মীরা। হঠাৎই বিষ্ণুরামচকগামী একটি গাড়ি ফুটপাতে উঠে গিয়ে কয়েকজনকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় জখম হন ৪ বন্দর কর্মী-সহ মোট ৬ জন। মাথায় গুরুতর চোট পাওয়া মোহন মণ্ডল-সহ প্রত্যেককেই সিপিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনাস্থলে থাকা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা পেশায় গাড়ি চালক কমল দাস বলেন, “আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ ওই গাড়িটি ফুটপাতে উঠে যায়। কিছু সাইকেল, মোটর সাইকেলে ধাক্কা মারতে মারতে পার্টি অফিসের সামনে কিছু লোককে মারে। আমরা ছুটে যেতে ড্রাইভার ভিড়ে মিশে পালায়।” যদিও এলাকার অনেকেই বলছেন, ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরবাইকে পালিয়ে যায় ঘাতক গাড়ির চালক। |
|
মাখনবাবুর বাজারে দুর্ঘটনাস্থল। |
বন্দরে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ওয়াটারফন্ট ওয়ার্কমেন-এর (আই) সাধারণ সম্পাদক অসীম সূত্রধরের অভিযোগ, “বন্দরে সিটু বুধবার মিছিল করার পরেই কর্মীদের প্ররোচিত করেছিল বলে জেনেছি। আমাকে পরিকল্পিত ভাবে মারতেই ওই গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটায়। কিন্তু আমি সামান্য আগে ঘটনাস্থল ছাড়ি। সেটা বুঝতে না পেরে অন্যদের চাপা দেয় চালক।” এর পরেই তিনি হলদিয়া থানায় সিটু নেতা বিমান মিস্ত্রি, অবিনাশ দাস, সুকুমার দাস-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও সিটুর মজদুর ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক বিমান মিস্ত্রির দাবি, “বুধবার শ্রমিকদের দাবি নিয়ে সংগঠিত বিক্ষোভের পরে অসীম সূত্রধর আতঙ্কে আছে। তাই এমন অভিযোগ করছে।” পুলিশ গাড়িটিকে আটক করলেও চালক পলাতক। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, গাড়িটি স্থানীয় রহিম খান নামে এক ব্যক্তির। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। |
|