ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান: চিডি-মোগা যুগলবন্দির অপেক্ষা
চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, আমি আর মোগা লাল-হলুদের স্বপ্ন সত্যি করব

প্রশ্ন: ইস্টবেঙ্গলের আবাসিক শিবির তো প্রায় শেষের পথে! কবে আসছেন? সবাই তো আপনার অপেক্ষায়।
চিডি: ভিসা সমস্যা বুধবার মিটে গেছে। মনে হচ্ছে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই কলকাতা পৌঁছে যাব। আবাসিক শিবির কবে শেষ হচ্ছে?

প্র: শোনা যাচ্ছে ৩১ জুলাই। আপনি, ওপারা, মোগা এখনও আসেননি বলে নতুন কোচ ফালোপা রেগে আছেন।
চিডি: আমাদের এখানে ভিসা সমস্যা হচ্ছে খুব। অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি। আশা করব কোচ এই সমস্যার কথা বুঝবেন। আর আমি এখানে অনুশীলন করছি। ফিটনেস ট্রেনিং করছি। একটুও ফাঁকি দিচ্ছি না। আমাকে নিয়ে কোচের যাতে কোনও অভিযোগ না থাকে, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছি।

প্র: ফালোপার সঙ্গে কথা হয়েছে?
চিডি: না, এখনও কোনও কথা হয়নি।

প্র: এ বার তো আপনার সঙ্গী মোগা। শোনা যাচ্ছে শুক্রবার তিনি আসছেন। দু’জনেই তো গোল গেটার। কতটা সুবিধা হবে ইস্টবেঙ্গলের? আই লিগ পাবেন?
চিডি: মোগা ভাল ফুটবলার। গত বার আমাদের প্রধান সমস্যা ছিল, গোলের সুযোগ তৈরি করেও বহু গোল মিস করেছি। মোগা এসে যাওয়ায় সেই সমস্যা থাকবে না। আই লিগ জিতব কী না সেটা সময় বলবে। তবে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি মোগা-চিডি জুটি লাল-হলুদ সমর্থকদের আশা পুরণ করবে। কথা দিচ্ছি প্রচুর গোল করব আমরা।
প্র: এ বার কলকাতায় ফিরে মর্গ্যানকে কতটা মিস করবেন?
চিডি:
খুব মিস করব। মর্গ্যানের সঙ্গে ফুটবলারদের একটা অদ্ভুত সম্পর্ক ছিল। তবে আমরা পেশাদার। শুনেছি ফালোপাও ভাল কোচ। তবে প্রথম প্রথম একটা খারাপ লাগা তো থাকবেই।

প্র: পেন না মর্গ্যান, কার চলে যাওয়ায় বেশি ক্ষতি হল ইস্টবেঙ্গলের?

চিডি: (ফোনের ওপারে খানিকক্ষণ চুপ) আসলে সবাই পেশাদার। কোচ বা ফুটবলার পরিবর্তন স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এটা ঠিক, মর্গ্যানের মতো পেনকেও আমি খুব মিস করব।

প্র: সুয়েকা কি পেনের অভাব পূরণ করতে পারবেন?
চিডি: পেন খুব বড় ফুটবলার। ওর সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটাও খুব জমাট ছিল। সুয়েকার খেলা দেখেছি। সুয়েকার তুলনায় পেনকেই আমি সবসময় এগিয়ে রাখব।

প্র: নতুন মরসুমে আপনার লক্ষ্য কি?
চিডি: প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই এএফসি কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছনো। মর্গ্যানের ফেলে যাওয়া স্বপ্ন পূরণ করা। আর আমাদের কাছেও এটা বড় প্রাপ্তি হবে। আগে এএফসি কাপের হার্ডেল টপকাই, তারপর আই লিগ নিয়ে ভাবব। (এরপরই চিডির পালটা প্রশ্ন) কলকাতায় কি খুব বৃষ্টি হচ্ছে? এখানে তো রোজ বৃষ্টি হচ্ছে। তার মধ্যেই অনুশীলন করছি।

প্র: এখানেও বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে কিন্তু কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়ে গেছে। জানেন?
চিডি: তাই নাকি। এ বার এত তাড়াতাড়ি! আমাদের খেলা কবে পড়েছে?

প্র: আই এফ এ থেকে বলা হচ্ছে অগস্টের শেষে। কোচ মর্কোস ফালোপা এবং তাঁর ছেলে আমেরিকো তো খুব হার্ড ট্রেনিং করাচ্ছেন মেহতাবদের।
চিডি: তাই! আমি তবে বেঁচে গেলাম! (আবার হাসি)। মজা করছিলাম। নিঃসন্দেহে, আমি প্রি-সিজনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টা মিস করলাম। তবে কলকাতায় ফিরে অনেক বেশি হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে।

প্রস্ততি ম্যাচে জয় ফালোপার
মরসুমের প্রথম ম্যাচেই সাত গোল দিয়ে শুরু করলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ মার্কোস ফালোপা। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও, গোটা খেলায় কর্তৃত্ব দেখা গিয়েছে ডিকা-মেহতাবদেরই। কল্যাণীতে বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম ডিভিশনের কলকাতা কাস্টমসকে ৭-০ পর্যুদস্ত করল ফালোপার ছেলেরা। রাজু-সৌমিককে রক্ষণে, বলজিৎ ও সুয়োকা-কে আক্রমণে রেখে প্রথম দল সাজিয়েছিলেন ফালোপা। মাঝমাঠে ছিলেন মেহতাব-তুলুঙ্গা-সুবোধ-লালরিন্দিকা। বলজিতের হ্যাটট্রিক ও লালরিন্দিকার গোলে প্রথমার্ধেই ৪-০ এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে সৌমিক ছাড়া পুরো দল পাল্টান ফালোপা। কিন্তু তাতেও গোল খাওয়া আটকায়নি কাস্টমসের। দ্বিতীয়ার্ধে দীপঙ্কর, লেন ও কেভিন লোবোর গোলে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ শেষ করে ৭-০। ম্যাচের পর মেহতাব বলেন, “আমরা আস্তে আস্তে একে অন্যের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছি।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.