বার্তাও দু’রকম
দুই কোরিয়ায় দু’রকম দল দিল্লির
দুই কোরিয়ার মধ্যে যখন সংঘর্ষ এবং উত্তেজনা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়েই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে এক ভারসাম্যের কৌশল নিল মনমোহন সরকার।
২৭ জুলাই দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধাবসানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দিনটি পালন করা হয় কোরিয়ান সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি দিবস হিসাবে। ওই উৎসবে যোগ দিতে উত্তর কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে, সিপিএম পলিটব্যুরো নেতা সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তরুণ বিজয় এবং কংগ্রেসের হামিদুল্লা সৈয়দ এবং বিদেশমন্ত্রকের কিছু কর্তা। অন্য দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার যাওয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল কংগ্রেসের প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় যেতে পারেননি। গিয়েছেন প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য শিবসেনার সঞ্জয় রাউত এবং বিজেপি-র অনুরাগ ঠাকুর। দুই কোরিয়ার জন্য দু’রকম প্রতিনিধি নির্বাচন থেকেই স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ একই সঙ্গে দু’রকম কূটনৈতিক বার্তা দিতে চেয়েছেন। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, উত্তর কোরিয়া শুধুমাত্র কমিউনিস্ট রাষ্ট্রই নয়, এই দেশের সঙ্গে চিনের একটি সনাতন অক্ষ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সময় থেকেই সামরিকভাবে চিন সমর্থন করেছে উত্তর কোরিয়াকে। বিভিন্ন কারণে সম্পর্ক হয়তো আজ মধুর নয়, কিন্তু দু’দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে। সিপিএমের সাম্প্রতিকতম পার্টি কংগ্রেসে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান নিয়ে একটি দলিল করা হয়। সেটি করেছিলেন সীতারামই। সেখানে কিছু বিষয়ে সে দেশের সমালোচনা করা হলেও আমেরিকার ‘সামরিক আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার রুখে দাঁড়ানোকে সাধুবাদ জানানো হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.