গুলিবিদ্ধ হলেন বছর তিরিশের এক যুবক। বৃহস্পতিবার সকালে কালনা ১ ব্লকের ধর্মডাঙা গ্রামের ঘটনা। রঞ্জিত দাস নামে ওই যুবককে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বাড়ি স্থানীয় লিচুতলা এলাকায়। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রঞ্জিতবাবু অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁর বন্ধু সঞ্জয় সমাদ্দার পিছন থেকে তাঁকে গুলি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আট মাস আগে ব্যবসা সূত্রে রঞ্জিতবাবু এবং ধর্মডাঙা গ্রামের সঞ্জয়বাবুর মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। ধর্মডাঙা রেলগেটের কাছে সঞ্জয়বাবুর সব্জির দোকান রয়েছে। তিনি তাঁর দোকানের সামনে রঞ্জিতবাবুকে মাছ বিক্রি করার অনুমতি দেন। দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। সঞ্জয়বাবুর বাড়িতে যাওয়া-আসা শুরু করেন রঞ্জিতবাবু। মাসখানেক আগে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সঞ্জয়বাবুর স্ত্রী মনিকা সমাদ্দার। তখন থেকে এলাকায় খোঁজ মিলছিল না রঞ্জিতবাবুরও। পরে জানা যায়, তিনি বেঙ্গালুরুতে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছেন। |
এলাকার মানুষের দাবি, সঞ্জয়বাবুর সন্দেহ হয় তাঁর স্ত্রী রঞ্জিতবাবুর সঙ্গে রয়েছেন। টেলিফোনে রঞ্জিতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগও করেন সঞ্জয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছন রঞ্জিতবাবু। তাঁকে স্টেশন থেকে গাড়ি নিয়ে আনতে যান সঞ্জয়বাবু। সঙ্গে ছিলেন আরও চার যুবক। সকাল ৯টা নাগাদ ওই গাড়ি পৌঁছয় ধর্মডাঙা গ্রামে। রঞ্জিতবাবুর অভিযোগ, রেললাইনের কাছে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। নেমে কয়েক পা হাঁটার পরেই খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করেন সঞ্জয়বাবু। গুলি লাগে তাঁর বা হাত ও পিঠে। এর পরেই গাড়িটি এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গুলি লাগার পরে রেললাইনের পাশে পড়ে যান রঞ্জিতবাবু। রঞ্জিতবাবুর দাদা ননীগোপাল দাসের কথায়, “ভাই এলাকায় থাকত না। তাঁকে গুলি করা হল কেন, বুঝতে পারছি না।” রঞ্জিতবাবুর অবশ্য দাবি, সঞ্জয়ের স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকেন না। এ দিন বিকেল পর্যন্ত কালনা থানার পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে বলে কালনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। |