বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা নিবন্ধকরণ আধিকারিক (কাটোয়া) দফতরের দলিল লেখকরা বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কাটোয়া শহরের সার্কাস ময়দান এলাকায় বীণাপানি গলির ভিতর বাড়িগুলিকে ‘বাণিজ্যিক’ করা হয়েছে। চরপাতাইহাট মৌজার বাসিন্দাদের সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করতে হলে কয়েক কিলোমিটার দূরের নিচুবাজার রাস্তার ঠিকানা দিতে হচ্ছে। তা না হলে সম্পত্তি মূল্য জানতে পারছে না ক্রেতা-বিক্রেতারা। আরও অভিযোগ, নতুন করে সম্পত্তির মূল্যায়ণে আগের চেয়ে অন্তত তিন-চার গুণ দাম বেড়েছে।
দলিল লেখকদের আরও অভিযোগ, ওই আধিকারিক মনগড়া সম্পত্তির মূল্যায়ণ নির্ধারণ করেছেন। ফলে সম্পত্তির দাম প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের রেজিস্ট্রি করার সময়ে সমস্যায় পড়ছেন। |
বিক্ষোভ কাটোয়ায়। —নিজস্ব চিত্র। |
এই আন্দোলনে কাটোয়ার একশো জন দলিল লেখক যোগ দিয়েছেন। দলিল লেখক সুব্রত দাস, অশোক মুখোপাধ্যায়দের অভিযোগ, “কোনও নিয়ম না মেনে একটা অবাস্তব সম্পত্তি মূল্যায়ণ করা হয়েছে। তা না হলে কাটোয়া ও দাঁইহাট শহরের একই মূল্যায়ন হয়!” আর এক দলিল লেখক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “পুরনো বাড়ির মূল্যায়ন কার্যত নতুন বাড়ির মতো করা হয়েছে।”
এ বছর কাটোয়া থেকে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি বাবদ ১২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে সরকার। সে কারণেই কী মনগড়া মূল্যায়ণ, প্রশ্ন দলিল লেখক সমিতির। জেলা অতিরিক্ত নিবন্ধকরণ (কাটোয়া) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের সম্পত্তির মূল্যায়ন করা হল দেড় বছর পরে। এ বারই প্রথম বাণিজ্যিক ও বসতবাড়ি আলাদা ভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। রাস্তা থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত বাড়ির আলাদা করে মূল্যায়ণ করা হয়েছে। ওই দফতরের আধিকারিক অসিতকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি জেলা মনিটরিং বোর্ডে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। মনিটরিং বোর্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা ছাড়া বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ রয়েছে। দলিল লেখক সমিতি কর্মবিরতি না করে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারতেন।” |