ইসিএলের অধিগৃহীত জমি ও খনি সংলগ্ন অঞ্চল থেকে অবৈধ কয়লা উত্তোলন এবং বিক্রি বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সদ্য ঘোষিত এই রায়ে যত দ্রুত সম্ভব নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশ পালনের জন্য তিন জন আধিকারিককে নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে ইসিএল।
ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার পারবেলিয়া এলাকার জনৈক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা করেন। ওই মামলায় জানানো হয়, ইসিএলের অধিগৃহীত জমি ও খনি সংলগ্ন এলাকায় একদল দুষ্কৃতী নিয়মিত অবৈধ ভাবে খনন করে কয়লা তুলছে ও বিক্রি করছে। এমনকী অনেকের ব্যক্তিগত জমি থেকেও জমি মালিকেরা কয়লা তুলছে, যা খনি আইনের পরিপন্থী। কারণ জমি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন থাকলেও ভূগর্ভস্থ খনিজ পদার্থ্য জমির মালিকের নয়। ওই সম্পদ রাষ্ট্রীয় খনি সংস্থার। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষার আবেদন করেন ওই ব্যক্তি। ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রী রায় বলেন, “হাইকোর্টের রায় হাতে আসার পরেই আমরা সেই নির্দেশ কঠোর ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিন জন আধিকারিককে নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি বানানো হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখভাল করছেন।”
তবে ইসিএলের অধিগৃহীত জমি বা খনি সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ কয়লা তোলা ও বিক্রি করা নতুন ঘটনা নয়। রানিগঞ্জ, আসানসোল শিল্পাঞ্চলেও একসময় এই ঘটনা আকছার ঘটেছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, কমিশনারেট গঠন হওয়ার পরে এলাকায় কয়লার অবৈধ কারবারে রাশ টানা গেলেও পুরুলিয়ার পারবেলিয়া এলাকায় তা রমরমিয়ে চলছে। ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করার পরে আধিকারিকদের একটি বৈঠক হয়। সেখানে বিভিন্ন এরিয়ার নিরাপত্তা আধিকারিক ও সিআইএসএফ আধিকারিকদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে সিআইএসএফকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিআইএসএফ বেশ কিছু ডিজেল জেনারেটর, মোটর পাম্প ও অবৈধ কয়লা খননের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। |