হাসপাতালের এক সাফাই কর্মীকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘থার্ড পোলিং অফিসার’-এর দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমার শীতলখুচি ব্লক এলাকার ঘটনা। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই সাফাইকর্মীকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় একজন পার্শ্বশিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের ওই সাফাইকর্মীর নাম কুন্দন হাজরা। শীতলখুচির ১৪২ নম্বর বুথের ভোটকর্মীদের দলে ‘থার্ড পোলিং অফিসার’ হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। প্রশাসনের চিঠি পেয়ে কুন্দনবাবু শীতলখুচি গোপীনাথ হাইস্কুলের ভোট সামগ্রী বিলি কেন্দ্রে হাজির হন। সেখানেই অন্য ভোটকর্মীদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এর পরে কুন্দনবাবুর পরিচয় জানাজানি হয়। সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার বিষয়টি জেনে উদ্বেগ প্রকাশ করে আপত্তি জানান। কারণ, কুন্দনবাবু নিজেও জানান, তিনি ভালমতো পড়াশোনা করেননি। ফলে থার্ড পোলিং অফিসার হিসাবে পঞ্চায়েত সমিতির ভোটার তালিকার নাম পড়ে কারা ভোট দিলেন তা চিহ্নিত করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। পাশাপাশি, কুন্দনবাবু নিজে অসুস্থতার কথা জানিয়েও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান। শেষ পর্যন্ত ব্লক প্রশাসনের কর্তারা অন্য এক পার্শ্ব শিক্ষককে পরিবর্ত হিসাবে কুন্দনবাবুর জায়গায় দায়িত্ব দেন। কোচবিহার জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুপ্রিয় দাস ও শীতলখুচির বিডিও সুধাংশু পাইক দুজনে প্রায় এক সুরে জানান, ওই বিষয়টি নজরে আসার পরে সংশ্লিষ্ট বুথে পরিবর্ত থার্ড অফিসার পাঠানো হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “এমন হওয়ার কথায় নয়। কেন হল খোঁজ নিয়ে দেখব।”
|
বন্যা বিধ্বস্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন, গঙ্গারামপুর ও কুশমন্ডি ব্লকের ৩০টি বুথে ভোট কর্মীদের বুথে পৌঁছানো হল মোটরবাইকে। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহের বন্যায় তিনটি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ও রাস্তা ভেঙে যায়। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রাথমিক স্কুলের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলি দুর্গম হয়ে পড়ে। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “৩০টি বুথে ভোট কর্মীদের মোটরবাইকে চাপিয়ে বুথে পাঠানো হয়েছে।”জলপাইগুড়ি জেলার ১৩৯৮ ভোট গ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে ৭৪৬টি বুথ অতি স্পর্শকাতর বলে জানা গিয়েছে। মালবাজার মহকুমায় ১১৫টি অতি স্পর্শকাতর ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। এ দিকে ভোটার আগের দিন সকালে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর এবং কালচিনি ব্লকের বিভিন্ন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়াই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যেতে হয়েছে একাংশ ভোট কর্মীদের। আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের সোনাপুর বিকে হাইস্কুল এবং কালচিনি ইউনিয়ন অ্যাকাদেমি স্কুলের ভোট সামগ্রী বিতরণ কেন্দ্রে সকাল থেকেই একই চিত্র দেখা গিয়েছে। কালচিনির বিডিও চন্দ্রসেন খাতি বলেন, “পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রক্ষী না পৌঁছনোয় কিছু কর্মীকে বুথে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।” আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “অন্য জেলা থেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের আনতে গাড়ি সমস্যা-সহ নানা কারণে দেরি হয়।”
|
কংগ্রেস, সিপিএমের সর্ংঘষে মালদহের নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষীপুর গ্রাম উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বুধবার রাত ৮ টা নাগাদ ইংরেজ বাজার থানার ওই এলাকার ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা এক কংগ্রেস সমর্থকের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পাল্টা কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের প্রার্থী রাজিয়া সুলতানার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানান, হামলা এবং পাল্টা হামলার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ গিয়েছে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে এখন কংগ্রেস মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের প্রার্থীর বাড়িতে হামলা শুরু করেছে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরীর দাবি, ভোটের আগে থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা জুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু দুষ্কৃতী কংগ্রেসের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত পয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করে। |