গোষ্ঠী-কোন্দলে রাতভর থানায় তৃণমূল সমর্থকরা
দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে থানা চত্বরে রাত কাটালেন তৃণমূলের শতাধিক কর্মী-সমর্থক। তাঁদের একাংশ মহিলা ও শিশু। মঙ্গলবার রাতভর দিনহাটা থানা চত্বরে অবস্থান করে তাঁরা নিরাপত্তার দাবি জানান। বুধবার বিকালে পুলিশের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটার ভেটাগুড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইশগুড়ি এলাকায় তৃণমূলের প্রতীকে প্রার্থী নেই। বামেদের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত ওই আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দলের জেলা নেতৃত্ব বাঁধন দে নামে এক স্থানীয় নেতাকে সমর্থন করেন। তিনি আম চিহ্নে লড়াই করছেন। অন্যদিকে অঞ্চল নেতৃত্বের একাংশ সুশীল চন্দকে টেবিল প্রতীকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করান।
দিনহাটা থানা চত্বরে তৃণমূল সমর্থকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার রাতে সুশীলবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত শতাধিক সমর্থক দিনহাটা থানা চত্বরে জমায়েত করে নিরপত্তার দাবি জানাতে থাকেন। সুশীলবাবু বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব আমাকে সমর্থন করেছেন। আমিই জিতব। বাঁধনবাবুর লোকজন আমার কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন। ভয় দেখানো হচ্ছে। বাধ্য হয়েই সকলকে নিয়ে থানায় আশ্রয় নিই।” বাঁধনবাবু অবশ্য বলেছেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব আমাকে সমর্থন করেছেন। ব্যানারেও তাই নিজেকে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী বলে লিখেছি। আমি জিতে যাব বুঝেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।” এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতির রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সভাপতির ঘনিষ্ট অপর জেলার নেতা পার্থপ্রতীম রায় বলেন, “জেলা নেতৃত্ব বাঁধনবাবুকেই সমর্থন করেছেন। কে কী বলছেন জানি না।” তবে তৃণমূলের ভেটাগুড়ি-২ অঞ্চল সহ-সভাপতি ওসমান আলি বলেন, “সুশীল চন্দ আমাদের প্রার্থী। তবে আমরা শান্তি চাই। দলকে বলেছি, যে জিতবেন তাঁকে দল গ্রহণ করুক।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.