মামলা দায়ের হওয়ার পরে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মারধরে অভিযুক্ত বর্ধমান মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
গত ১৭ জুলাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে জনা কুড়ি জুনিয়র ডাক্তার ও হাউসস্টাফ মিলে মারধর করেন বলে অভিযোগ। যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে হামলার অভিযোগে পুলিশ আশিক শেখ নামে ওই চালককেই সে দিন গ্রেফতার করে। তাঁর বাবা শেখ আনার ২০ জুলাই বর্ধমান সিজেএম আদালতে তিন জুনিয়র ডাক্তারের নামে অভিযোগ করেন। মারধরে আরও অনেক জুনিয়র ডাক্তারের জড়িত থাকার কথাও জানান। আদালত পুলিশকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করতে নির্দেশ দেয়। শেখ আনার ওই জুনিয়র ডাক্তারেরা কোনও হস্টেলের কোন ঘরে থাকেন, তা-ও অভিযোগে জানান। মঙ্গলবার পুলিশ খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করলেও বুধবার কার্যত কোনও পদক্ষেপই করেনি।
পুলিশ আগে জানিয়েছিল, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে, সৌরভ সরকার, মধুসূদন শর্মা ও নিবারন রায় নামে অভিযুক্ত তিন জুনিয়র ডাক্তার যেন শীঘ্র আত্মসমর্পণ করেন। অন্যথায় তাঁদের হস্টেলে গিয়ে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু এ দিন অভিযুক্তেরা আত্মসমর্পণও করেননি, পুলিশও হস্টেলে যায়নি মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর। বর্ধমান থানা সূত্রে জানা যায়, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে যে চিঠি পাঠিয়ে অভিযুক্তদের আত্মসমর্পণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল, তা এ দিনও লেখা হয়নি। আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমরা আপাতত তদন্ত শুরু করেছি। পরে ওই চিঠি পাঠানো হবে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে।” |