ইসিজি চলছে। দেয়ালের গা থেকে খসে পড়ল এক টুকরো চাঙড়। আঁৎকে উঠলেন রোগী, স্বাস্থ্যকর্মীরা। অল্পবিস্তর চোটও লাগল।
এক বার নয়, গত দু’মাসে বার দুয়েক এমনই ঘটনা ঘটেছে বিষ্ণুপুর হাসপাতালের ইসিজি রুমে। স্বাস্থ্যকর্মীরা এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ। তাঁহের অভিযোগ, চাঙড় খসে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু হুঁশ নেই কর্তৃপক্ষের। বোধহয় বড় দুর্ঘটনা ঘটলে, তখন টনক নড়বে। তাঁরা জানান, বিষয়টি হাসপাতালের সুপারকে জানিয়েও কাজ হয়নি। |
বুধবার ওই হাসপাতালের ইসিজি বিভাগে গিয়ে দেখা গেল, ফাটল ধরা দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে সিঁটিয়ে আছেন এক রোগী। বললেন, “নীচ থেকে মনে হচ্ছে, এই বুঝি চাঙড় খসে পড়ল।’’ এক কর্মী বললেন, “আমরাও কিছু বিপদের বাইরে রয়েছি। কিন্তু কার কানে তুলব? এত বার বলেও তো লাভ হয়নি।” ছুটির দিন বাদে প্রতি দিন গড়ে ৩০ জনের বেশি রোগী আসেন এই বিভাগে। অন্য সমস্যাও রয়েছে এখানে। ছোট ঘর। অপেক্ষায় থাকা রোগীদের বসার জায়গা নেই। ফলে হার্টে সমস্যায় থাকা রোগীদের দীর্ঘ ক্ষণ লাইন দিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সমস্যার কথা স্বীকার করেন কর্মীরাও। বলেন, “রোগী অনুপাতে জায়গা অত্যন্ত কম। বড় ঘর দরকার। চেয়েও পাওয়া যায়নি।” হাসপাতালের কোনও সমস্যা নিয়ে সুপার দেবাশিস রায় কথা বলতে নারাজ। তিনি সাফ জানিয়ে দেন এ ব্যাপারে কথা বলবেন না। তবে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরেশ দাস বলেন, “হাসপাতালে দেওয়ালের চাঙড় খসে পড়লে নিশ্চই মেরামত করা দরকার। কেন তা করা হয়নি খোঁজ নিয়ে দেখব।” |