হস্টেল ঘর পাওয়া নিয়ে দুই ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়াদের মধ্যে মতানৈক্যে উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে ডিএসও’র এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার এ ব্যাপারে কলেজ কাউন্সিল এবং অধ্যক্ষকে অভিযোগ করেছে ওই ছাত্র দীপক গিরি। ডিএসও’র অভিযোগ, হস্টেল ভবনের নিচ তলায় প্রথমবর্ষের পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ সেখানে দুটি ঘরের প্রত্যেকটিতে একজন করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই পড়ুয়া তথা হাউজ স্টাফ রয়েছেন। তাঁরা প্রথমবর্ষের পড়ুয়াদের তাঁদের সংগঠন করার জন্য প্রভাবিত করছেন। এমনিতেই যেখানে হস্টেলে ঘরের সংখ্যা কম সেখানে কেন একটি ঘরে ১ জন করে এবং প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সঙ্গে তারা থাকছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হস্টেল সুপারকে অভিযোগ জানান ডিএসও’র ওই ছাত্র। তার জেরেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, হস্টেল ভারপ্রাপ্ত সুপারের ঘরে তাঁর সামনেই ওই ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে। ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ সৌমেন চক্রবর্তী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। হস্টেলের ভারপ্রাপ্ত সুপার পার্থ সারথি বিশ্বাস জানান, নতুন শিক্ষা বর্ষর ছাত্ররা ভর্তি হতেই হস্টেলের পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা নতুন করে ঠিক করা হয়। সেই মতো ১৯-২১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রত্যেককে তাদের জন্য বরাদ্দ ঘরে যেতে বলা হয়েছিল। তা মানেনি অনেকেই। তিনি বলেন, “তা নিয়েই ছাত্রদের দুইটি সংগঠনের পড়ুয়ারা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এসেছিল। সে সময় তাদের মধ্যে গোলমাল, কথা কাটাকাটি হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা নেই।”
কলেজের তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক বালা বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং সুপার, হস্টেল মনিটরের সঙ্গে বসে ছাত্ররা কে কোন ঘরে থাকবেন তা ঠিক করে দেন। ডিএসও’র ছাত্ররা তা মানতে চাইছেন না। তারা নিজেদের মতো ঘর দাবি করছে। ভবনের নিচ তলায় ওই ঘর দুটি চাইছে। দ্বিতীয় বর্ষের তাদের এক ছাত্র একটি ঘরে একা থাকতে চাইছে।” নিগৃহীত ছাত্র দীপক গিরি জানান, এক জন করে দুটি ঘর আটকে রাখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই জন পড়ুয়া। তা নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করা হয়েছে। |