|
|
|
|
চিদম্বরমকে নালিশ প্রদীপের |
সন্ত্রাসে ব্যাহত নারীর ক্ষমতায়ন, অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে হিংসায় আক্রান্ত হয়েছেন মহিলা প্রার্থীরাও। কোথাও তাঁরা নিজেরা আক্রমণের শিকার, কোথাও তাঁদের স্বামীরা নিহত, কোথাও আবার পরিবারের অন্যেরা আক্রান্ত। এই হিংসায় পঞ্চায়েত ভোটে মহিলাদের জন্য ৫০% আসন সংরক্ষণের উদ্দেশ্যই ব্যাহত হল বলে অভিযোগ করল চার বামপন্থী মহিলা সংগঠন।
ভোট-পর্বের মধ্যেই সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপাস এম কে নারায়ণনের কাছে গিয়েছিল মহিলা সংগঠনগুলি। সিপিএমের মহিলা সমিতির দফতরে বুধবার হাজির হয়ে বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মহিলা প্রার্থীরা ভোট দিতে না দেওয়া, ভোটের দিন তৃণমূলের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে পুলিশের এগিয়ে না আসা, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেও ভয় দেখিয়ে তা প্রত্যাহার করানো-সহ নানা অভিযোগের কথা বলেছেন। মহিলা সংগঠনগুলির তরফে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেখা গোস্বামী বলেন, “এ বার পঞ্চায়েতে অর্ধেক মহিলা। আমরা ভেবেছিলাম, মহিলাদের এই ক্ষমতায়নে উৎসবের মধ্য দিয়ে মানুষ ভোট দেবেন। কিন্তু যে ভাবে ভয় দেখিয়ে বহু মহিলার প্রার্থী হওয়া এবং প্রচার আটকানো হল, ভোটের দিন সন্ত্রাস করে বুথ লুঠ করা হল, তাতে মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হল।”
শাসক দল অবশ্য বামেদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ। তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “এমন অঙ্ক কষা শুধু সিপিএমের পক্ষেই সম্ভব! বেছে বেছে মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ করা হয়েছে, এমন তত্ত্ব তাঁরা কোথায় পেলেন?” কিন্তু সন্ত্রাসের শিকার তো মহিলা প্রার্থীরাও? পার্থবাবুর মতে, “বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোটকে বানচাল ও উত্তপ্ত করার নানা চেষ্টা চালিয়েছে। বাস্তবে দেখা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ডাকে বিপুল সাড়া দিয়েছেন মহিলারা। ভোটে দাঁড়ানো, প্রচার, মিটিং-মিছিল সবেতেই মহিলাদের অংশগ্রহণ এ বার চোখে পড়ার মতো।”
গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কার্যকরী সম্পাদক কুমকুম চক্রবর্তী জানান, ফরাসি মহিলাকে নিগ্রহ থেকে শুরু করে শিয়ালদহ স্টেশন, ফুলবাগান-কাণ্ড, শ্লীলতাহানি রুখতে যুবতীর ট্রেন থেকে ঝাঁপ সব ঘটনা নিয়েই পঞ্চায়েত ভোটের পরে তাঁরা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে যাবেন। শেষ দফার ভোটেও মহিলা প্রার্থীদের উপরে হামলার আশঙ্কার কথা জানান সিপিআই নেত্রী শ্যামশ্রী দাস। প্রসঙ্গত, এ দিনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য কলকাতা সফরে আসা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কাছে অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসার যে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল বাম জমানায়, তা ভেঙে গিয়েছে বর্তমান শাসকের আমলে।
এ দিনই, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছে, ভোটে হিংসার জন্য রাজ্যের পাশাপাশি কমিশনেরও কিঞ্চিৎ দায় আছে। সন্ত্রাসে নিহত ৬৬ জনের তালিকা পেশ করে ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। |
|
|
|
|
|