প্রতারণার অভিযোগে ধৃত একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার দুই সিনিয়র লিডারকে পুলিশি হেফাজতে পাঠাল খাতড়া আদালত। ‘বেসিল ইন্টারন্যাশনাল’ নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার পুলিশের কাছে এক আমানতকারী প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সংস্থার দুই সিনিয়র লিডার জিতেন মণ্ডল ও দিলীপ রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ধৃত দু’জনকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
খাতড়ার পাম্প মোড়ে ‘বেসিল ইন্টারন্যাশনাল’ নামে ওই সংস্থার শাখা অফিসটি গত কয়েক দিন ধরে বন্ধ ছিল। অফিস খোলার খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় টাকা ফেরতের দাবি জানান এলাকার কিছু আমানতকারী। সেই সময় অফিসের ভিতরে থাকা জিতেনবাবু ও দিলীপবাবু জানিয়ে দেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না পাওয়া গেলে টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। এরপরেই উত্তেজিত আমানতকারীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়ে ওই দুই সিনিয়র লিডারকে ঘন্টাখানেক আটকে রাখেন। অফিসের একাংশ ভাঙচুরও হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে খাতড়ার এক বাসিন্দা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তাঁর লগ্নি করা টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। ধৃতদের আইনজীবী চঞ্চল রায় অবশ্য দাবি করেন, “জিতেন মণ্ডল ও দিলীপ রায় ওই সংস্থার শুধুমাত্র এজেন্ট। আমানতকারীরা ওই সংস্থায় টাকা রেখেছিলেন। ধৃতদের কাছে ওঁদের কোনও টাকাই গচ্ছিত নেই। তাই তাঁরা কারও সঙ্গেই প্রতারণা বা কারও টাকা আত্মসাৎ করেননি।” |