বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী ও ভাশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম বিশ্বজিৎ গরাই ও মহাবীর গরাই। বাড়ি ঝালদা থানার মেঘা গ্রামে। এ দিন সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে পুলিশ বিশ্বজিতের স্ত্রী রীনা গরাইয়ের (৩৫) অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে। বছর দশেক আগে বিশ্বজিতের সঙ্গে বিয়ে হয় পড়শি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুরির বাসিন্দা রীনার।
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে এ দিন সকালে ঝালদায় আসেন বধূটির মা সুনীতা দেবী। তিনি পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ করে। দুপুরে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। সুনীতাদেবীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়ের উপরে অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তারাই কেরোসিন তেল রীনাকে পুড়িয়ে খুন করেছে। তিনি চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ বাকিদের ধরতে পারেনি।
অন্য দিকে, সোমবার সকালে খাতড়া থানার নগড়ি গ্রামে ঝুমা রায় (২১) নামে এক বধূকে পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ হয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিশ মৃতার স্বামী জয়দেব রায়কে গ্রেফতার করেছিল। যদিও ওই ঘটনায় বধূটির বাবা স্বপন রায় জামাই-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এ দিন ধৃতকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অন্য অভিযুক্তেরা পলাতক বলে দাবি করেছে পুলিশ।
স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথপুর থানার পুলিশ বারোমেস্যা গ্রামের বাসিন্দা শিবদাস টুডুকে গ্রেফতার করেছে। এ দিন তাকে রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে পুরুলিয়ার পাড়া থানার রানিপুর গ্রামের বাসিন্দা কল্পনা টুডুকে বিয়ে করেছিলেন শিবদাস। এক বছর আগে তিনি ফের দ্বিতীয় বিয়ে করেন বলে পুলিশের কাছে কল্পনাদেবী অভিযোগ করেছেন। এরপর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করেন স্বামী। |