এক কিশোরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় নৈহাটির পালবাগানের বাসিন্দা প্রতিমা রজকের (১৬) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরেই পুলিশের কাছে পড়শি গৌতম পাসোয়ানের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা-প্রধান দেবাশিস বেজের দাবি, প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের মনে হচ্ছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্তের
|
প্রতিমা রজক |
সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কোনও ওঠাপড়ার কারণে কিশোরী আত্মঘাতী হয়। অভিযুক্ত পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিমার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। তার বাবা শ্রীকুমারবাবু ও মা বুনিদেবী
জামাকাপড় ধোলাইয়ের কাজ করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা বাড়ি ছিলেন না। প্রতিমা বাড়ির বারান্দায় রান্না করছিল। তার ভাই আকাশ ঘরে টিভি দেখছিল। সেই সময়ে গৌতম ওই বাড়িতে আসে। প্রতিমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। গৌতম প্রতিমাকে চড়-থাপ্পড়ও মারে বলে অভিযোগ। চেঁচামেচি শুনে আকাশ বেরিয়ে এসে দিদিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকে বাইরে বের করে দিয়ে গৌতম দরজা বন্ধ করে দেয় বলে পরিবারের দাবি। এর পরে আকাশ বাবাকে ডেকে নিয়ে আসে। শ্রীকুমারবাবু ঘরে ঢুকে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
আকাশ বলে, “গৌতমের চড় খেয়ে দিদি কাঁদছিল। আমি বেরোতেই গৌতম আমাকেও মারল। তার পরে বের করে দিল। বাবাকে নিয়ে ফিরে এসে দেখি ওই অবস্থা। গৌতমের জন্যই আমার দিদিটা মারা গেল।” প্রতিমার মামাতো বোন সোনি রজক কিছুটা দূরে থাকেন। তিনি বলেন, “গৌতম প্রায়ই প্রতিমাকে উত্যক্ত করত। ও প্রতিমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রতিমা রাজি হয়নি। অন্য জায়গায় ওর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। মঙ্গলবার রাতে গৌতমকে পাড়ার লোকজন প্রতিমার বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেছে। লোকজন কী মনে করবে, এই ভেবেই বোধহয় বোনটা আত্মহত্যা করল।”
প্রতিমার সঙ্গে গৌতমের কোনও সম্পর্কের কথা এলাকার লোকজন মানতে চাননি। তাঁরা গৌতমের বিরুদ্ধেই মস্তানির অভিযোগ তুলেছেন। এ দিন গৌতমের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। স্থানীয়েরা জানান, প্রতিমার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই গৌতম বা তাঁর পরিবারের কাউকে তাঁরা দেখতে পাননি। |