|
|
|
|
চাল ফেলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের |
হলদিয়ায় মিড-ডে মিলে পোকা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
এ বার মিড-ডে মিলের চালে মিলল পোকা। তা দেখতে পেয়ে স্কুলে মজুত প্রায় ১০ বস্তা চাল ফেলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। বুধবার দুপুরে হলদিয়ার সুতাহাটার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসুলিয়া দক্ষিণপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে।
সম্প্রতি বিহারের ছপরায়
মিড-ডে মিলের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জন পড়ুয়ার। তারপরেও যে মিড-ডে মিল নিয়ে স্কুলগুলি সতর্ক হয়নি, এ দিনের ঘটনায় ফের তা সামনে এল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে মিড-ডে মিল পরিবেশনের পরে ভাতে অজস্র পোকা দেখতে পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে তিন পড়ুয়া। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই আশপাশ থেকে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। বিদ্যালয়ে মজুত চালের বস্তা একের পর এক ফেলে দিয়ে শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ছুটে আসেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দন মাজি। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। অভিভাবকদের তরফে শেখ আব্দুল রহমান, কামালুদ্দিন খানরা অভিযোগ করেন, “২০০৫ সালে এই স্কুলে মিড-ডে মিলে টিকটিকি পড়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তারপরেও হুঁশ ফেরেনি স্কুল কর্তৃপক্ষের। বিহারের ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়নি ওঁরা। যা খুশি খাওয়াচ্ছে।”
যদিও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল মিশ্র বলেন, “এ বারের চালটা পুরসভা থেকে এসেছে। রান্না করে দেখছি এই অবস্থা। আমরা কী করতে পারি? কাউন্সিলরকে সব বলেছি।”
এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দন মাজি বলেন, “চালটা আসলে ডিলারের মাধ্যমে আসে। আমরা তদন্ত করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে বলেছি। আপাতত বন্ধ থাকবে মিড-ডে মিল।” উপপুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিকও বলেন, “এখন চাল সরাসরি ডিলারের মাধ্যমে স্কুলে যায়। অভিযোগ হলে আমরা স্কুল পরিদর্শককে জানাব। তারাই ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
চাল না হয় খারাপ। কিন্তু তা রান্না করা হল কেন? জবাব মেলেনি। |
|
|
|
|
|