|
|
|
|
চণ্ডীপুরে বিক্ষোভ |
গণনায় শিক্ষকরাও, পক্ষপাতের অভিযোগ তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ভোট গণনার কাজে বেছে বেছে বামপন্থী শিক্ষকদের নিয়োগ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। বুধবার বিকেলে চণ্ডীপুর ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর সময় উত্তেজিত তৃণমূল সমর্থকরা ভাঙচুরও করেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে ভোট গণনার প্রস্তুতি নিয়ে ব্লক অফিসে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, “ব্লক নির্বাচন দফতর ভোট গণনার কাজে যে সব শিক্ষকদের নিযুক্ত করেছে, তাঁদের অধিকাংশই বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতা, সিপিএমের দলীয় পদাধিকারী, এমনকী সিপিএম প্রার্থীর আত্মীয় রয়েছেন।” ভোট গণনার কর্মী নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তৃণমূল বিধায়ক অমিয় ভটাচার্য-সহ দলের স্থানীয় নেতৃত্ব বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে আসেন। এরপর দলীয় সমর্থকদের জড়ো করে বিকেল
সাড়ে ৪টা নাগাদ ব্লক অফিসে
ঘেরাও-বিক্ষোভ করেন তাঁরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ উত্তেজিত তৃণমূল সমর্থকরা ভাঙচুর শুরু করেন বলে অভিযোগ। অমিয়বাবু অবশ্য ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে তৃণমূলের তোলা পক্ষপাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট গণনার জন্য প্রতিটি টেবিলে একজন কাউন্টিং অফিসার ও দু’জন কাউন্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৩৩৭৮টি বুথের ভোট গণনার জন্য প্রায় সাড়ে ৬ হাজার আধিকারিক-কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ প্রশাসনিক কর্মী বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল বলেন, ‘‘কাউন্টিং অফিসার হিসেবে সরকারি কর্মচারীদেরই নিয়োগ করা হয়েছে। কাউন্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কিছু শিক্ষককে নেওয়া হয়েছে শুধু। এর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।” অজয়বাবু বলেন, “ভোট গণনার কাজে নিযুক্ত শিক্ষকদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যদি কোনও কাউন্টিং অ্যাসিট্যান্ট রাজনৈতিক দলের পদাধিকারী বা প্রার্থী বলে অভিযোগ আসে, তা হলে বাদ দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|