|
|
|
|
বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন রাষ্ট্রপতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি তাতে সাড়া দিয়েছেন।
বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সেই সম্মতির কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই প্রথম কোনও রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “এটা আমাদের কাছে ভীষণ গর্বের কথা। বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব থেকে উল্লেখযোগ্য বক্তৃতা হল বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতা। রাষ্ট্রপতি আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ায় ভীষণ লাগছে।”
অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতি সময় দিয়েছেন ১৫ সেপ্টেম্বর। ওই দিনই হবে ‘বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতা’। কিন্তু কোথায় অনুষ্ঠানটি হবে তা এখনও স্থির হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভাল অডিটোরিয়াম নেই। একটি অডিটোরিয়াম তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। তবে তা অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। রয়েছে বলতে একটি হল। কিন্তু তা বড় মাপের অনুষ্ঠান করার উপযোগী নয় বলে কর্তৃপক্ষের অভিমত। তাই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে খোলা জায়গায় মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পুলিশকে এই প্রস্তাব দেওয়া হবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে পুলিশ যে জায়গাটি নির্দিষ্ট করে দেবে, সেখানেই অনুষ্ঠান হবে।
প্রতি বছর বিশিষ্ট কাউকে ‘বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতা’য় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। তবে নানা কারনে প্রতি বছর এই অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। এখনও পর্যন্ত ছ’বার বক্তৃতা হয়েছে। এ বার রাষ্ট্রপতি আসছেন সপ্তম বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতা দিতে। এর আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমিত সরকার, শিশিরকুমার দাসের মতো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদেরা এই বক্তৃতা দিয়েছেন। শেষ বার এই বক্তৃতা হয়েছিল ২০১০ সালে। সে বার প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব তথা অভিনেতা গিরিশ কর্নাড এই বক্তৃতা দেন।
এ বছরে ফের ‘বিদ্যাসাগর স্মারক বক্তৃতা’ আয়োজনের পরিকল্পনার সময়ই বিশিষ্ট কাউকে আনার ভাবনাচিন্তা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।তখন বঙ্গসন্তান রাষ্ট্রপতির কথা মাথায় আসে তাঁদের। সেই মতো প্রণববাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণে সাড়া মেলায় খুশি কর্তৃপক্ষ, ছাত্রছাত্রীরাও। |
|
|
|
|
|