|
|
|
|
গণনায় অশান্তি নিয়ে সর্বদলে সরব বিরোধীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগামী সোমবার, ভোটগণনার দিন এবং তার পরে অশান্তির আশঙ্কা করছে বিরোধী দলগুলি। বুধবার মেদিনীপুরে কালেক্টরেটের সভাঘরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদল বৈঠক হয়। সেখানেই এই আশঙ্কার কথা জানান বিরোধীরা। প্রশাসনের তরফে ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মেহেমুদ আখতার, জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক শম্পা হাজরা।
বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা জানান, গণনার পর কাউন্টিং এজেন্টরা নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, এ ক্ষেত্রে তাঁদের অতীত অভিজ্ঞতা তিক্ত! ভোটের আগে-পরে জেলা জুড়ে সন্ত্রাস চলেছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। পুলিশ-প্রশাসন অবশ্য জানায়, গণনার দিন সর্বত্র বাড়তি পুলিশ বাহিনী থাকবে। অশান্তির আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদলও। |
|
কালেক্টরেটে সর্বদল বৈঠক। নিজস্ব চিত্র। |
বৈঠক শেষে দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “বিরোধীরা হামলার আশঙ্কা করছে। তবে এমন আশঙ্কা অমূলক। আমরা বলছি, ওদের সবাই নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এতটুকু সমস্যা হবে না। তবে জিতে নয়, হেরে বাড়ি যাবেন!”
বুধবার বিকেলে পাঁচটা নাগাদ সর্বদল বৈঠক শুরু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৯টি ব্লক রয়েছে। প্রতি ব্লকে একটি করে ডিস্ট্রিবিউশন কাম রিসেপশন সেন্টার (ডিসিআরসি) তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে স্ট্রং রুম। সেখানেই রয়েছে ব্যালট বাক্সগুলি। এই সব কেন্দ্রেই গণনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে টেবিল সংখ্যা ২৪৩৪। কী ভাবে গণনা হবে, সুষ্ঠু ভাবে সব কিছু করতে জেলা প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করছে, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের তা জানানো হয়। বৈঠক শেষে জেলা কংগ্রেস নেতা শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কাউন্টিং এজেন্টরা কী করবেন, কী করবেন না, তা জানানো হল। আমরা বলেছি, এজেন্টরা গণনা কেন্দ্রে আসবেন। তবে, নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারবেন তো?” ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা নেতা সুকুমার ভুঁইয়ার কথায়, “কী ভাবে নির্বাচন হয়েছে, সকলেই দেখেছেন। বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস হয়েছে। বুথ থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।” জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎবাবু অবশ্য বলেন, “জেলায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন হয়েছে। ভোটগণনাতেও শান্তি বজায় থাকবে।”
জেলা প্রশাসনও সকলের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন রেখেছে। বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, “গণনার দিন এবং তার পরে সর্বত্র যেন শান্তি বজায় থাকে, সকলের কাছে সেই আবেদন রাখা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|