দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যা উলুবেড়িয়ার ১৩ নম্বর ওর্য়াডে। বিশেষ করে এই ওয়ার্ডের বাঙালপুর গ্রামে ওই সমস্যা আরও শোচনীয়। প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে আনতে হয় বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এক বছরেরও ওপর স্থানীয় ইদগার কাছে নলকূপটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ সেটি সারানোর জন্য কোনও গা নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে ৬টি গ্রাম। কোটালঘাটা, জগৎপুর, ঘোষপাড়া, পঞ্চাননতলা, মনসাতলা গ্রাম ছাড়াও বাঙালপুরও এই ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। এই গ্রামে দু’টি নলকূপ। তার মধ্যে একটি বহুদিন ধরেই অকেজো। পুরোপুরি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামটিতে পানীয় জলের সমস্যার কারণে এই রমজান মাসে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। |
খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে নলকূপ। পানীয় জলের সমস্যা তীব্র হচ্ছে উলুবেড়িয়ার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রায় এক কিলোমিটার উজিয়ে গিয়ে আনতে হচ্ছে জল। ভোর ভোর দল আনতে না গেলে সেখানেও দীর্ঘ লাইন পড়ায় সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, “রমজান মাসে মহিলাদের এত ধকল পোষায় বলুন? কাউন্সিলরকে বলেছিলাম যত দিন না নলকূপ তৈরি হয়, পুরসভার জলের গাড়ি যদি দিনে একবার করে আসে, তা হলে খুব উপকার হয়। কিন্তু কাজ হয়নি। পুরসভা আমাদের সমস্যা নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামায়নি।”
কী বলছেন কাউন্সিলর? ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলার উত্তম ধাড়া বলেন, “নলকূপটি নতুন করে বসানোর জন্যে পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। টেন্ডারও হয়ে যায়। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট চলে আসায় কাজ ঢ়ুরু করা যায়নি। আর জলের গাড়ির বিষয়েও পুরসভাকে জানিয়েছিলাম। সে ব্যাপারে ওরা কী করবে সেটা ওদের সিদ্ধান্ত।” অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উলুবেড়িয়া পুরসভার জল দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “ওই নলকূপের জন্য টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। হয়তো পঞ্চায়েত ভোটের কারণে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভোট মিটে গেলেই কাজ শুরু হবে।” |