ভোট পর্ব মিটতে না মিটতেই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক হিংসা ও এলাকা দখলের লড়াই। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যে সেই এলাকা দখলের লড়াইকে ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি হল খয়রাশোলের ডেমুরটিটা এবং বারাবন গ্রামে। তবে ওই বোমাবাজির ঘটনায় অবশ্য কেউ হতাহত না হলেও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ভোট পর্ব চুকতে না চুকতেই এলাকায় কার ক্ষমতা বেশি হবে সেই নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্য দিকে, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক সরবরাহের দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র সিপিএম ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর, ঘর লুঠপাটের অভিযোগ করেছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অরুণ মিত্র বলেন, “বুধবার বক্রেশ্বর প্ল্যান্টে টেন্ডার জমা দিতে গিয়েও আমাদের লোকেরা তা জমা করতে পারেনি। বক্রেশ্বর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের ভেতেরই ঢুকতেই দেয়নি। উল্টে এক সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং কাছের মুথাবেড়িয়া গ্রামে ঢুকে আমাদের দুই সমর্থকদের ঘর ভাঙচুর করে ওরা।” অবশ্য সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র। তাঁর পাল্টা দাবি, “টেন্ডার জমা দেওয়ার কথা ছিল প্ল্যান্টের ভেতরের ‘টেকনিকাল বিল্ডিংয়ে’। সংরক্ষিত ওই জায়গায় কোনও গণ্ডগোল হয়নি। বরং গেটে ঢোকার মুখে ওদের লোকেরাই ঝামেলা শুরু করেছিল। পরে মুখাবেড়িয়া গ্রামে গিয়ে আমাদের হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা এক মহিলা প্রার্থীকে মারধর করে, ভাঙচুর করেছে কয়েকটি বাড়িতে।” এ বিষয়ে অবশ্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দু’পক্ষের দায়ের করা আভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সদাইপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। |