ভোটের ডায়েরি
পৃথক ফল
মাড়গ্রামে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
সোমবার বেলা ১১টা। গোপীনাথপুর হাইস্কুলের বুথ। ভোট চলছে। চলছে স্লিপ দেওয়ার কাজ। তারই ফাঁকে তৃণমূল শিবিরে কর্মী-সমর্থকদের হাতে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল শাল পাতার মুড়ির ঠোঙা। বালতি থেকে হাতা ডুবিয়ে দেওয়া হল ঘুগনি। কিন্তু শেষ তিন জনের কাছে পৌঁছনোর আগে ঘুগনি শেষ। সঙ্গে সঙ্গে ছুট কাছের তেলে ভাজার দোকানে। সেখানেও মিলল না কিছু। অগত্যা তিন জনের জন্য বরাদ্দ হল ৬টি চমচম। তা দেখে অন্য কর্মীরা বললেন, “এক যাত্রায় পৃথক ফল!”

গ্রামে টাউন
জিতলে মাড়গ্রামকে টাউন করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন বামফ্রন্ট প্রার্থী কামারুজ্জামান শেখ। একে বারে টাউন? মাড়গ্রাম ১ পঞ্চায়েতের এই প্রার্থীর জবাব, “কি করব? আমার ডাক নাম যে টাউন। লোকে সেই নামেই ডাকে। দেওয়াল লিখনেও সেই নামই লেখা। এ জন্য কথাও তো কম শুনতে হয়নি। তাই ঠিক করেছি, জিতলে নামের সার্থকতা রাখব।”

ব্যালট বিভ্রাট
জেলা পরিষদের ২৯ নম্বর আসনের ভোট চলছে। ৪০টা ভোট পড়ে যাওয়ার পরে নজরে আসে, আরে এ তো ৩০ নম্বর আসনের ব্যালট পেপার! সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল পড়ে যায় রামপুরহাটের মাসড়া হাইস্কুলের বুথে। পরে নতুন ব্যালট পেপার এনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বাকি ভোট পর্ব নিবির্ঘ্নেই মেটে। কিন্তু সিপিএমের এজেন্ট দাবি করেন, ওই বিভ্রাটের জন্য পুনর্নির্বাচন করতে হবে। রামপুরহাটের মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের রিপোর্ট পাওয়ার পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

ছাতা ধার
ময়ূরেশ্বরের দক্ষিণগ্রাম হাইস্কুলের বুথ। সোমবার দুপুর দেড়টা। চড়া রোদে লম্বা লাইন। দেখা গেল একটা ছাতার তলায় তিন-চার জন ভোটার। ভোট দিয়ে ফিরছিলেন এক গৃহবধূ। চড়া রোদে খালি মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা এক বধূ বললেন, “তোর তো ভোট হয়ে গিয়েছে। ছাতাটা ধার দে না।” বিনা বাক্য ব্যায়ে ছাতা এগিয়ে দিলেন প্রথম বধূটি। বললেন, “ফিরে ফেরত দিয়ে আশিস। একটাই ছাতা। না হলে কর্তা সকালে দোকান যেতে পারবেন না।”

সিপিএমের নালিশ
তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনীর তাড়া খেয়ে খয়রাশোলের বাবুইজোড় পঞ্চায়তের বাতাসপুর সংসদ ও দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাই পঞ্চায়েতের বিশালপুর সংসদে দাঁড়ানো তাঁদের দুই প্রার্থী-সহ প্রায় শতিনেক ভোটার ভোটই দিতে পারলেন না বলে অভিযোগ সিপিএমের। যদিও আভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

প্রার্থীর অবতরণ

সকাল ১০টা। ষাটপলশা বাসস্ট্যান্ড। কপালে তিলক কেটে মোটরবাইক থেকে নামলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী জটিল মণ্ডল। তাঁকে ঘিরে ধরলেন কর্মী-সমর্থকেরা। কাছেই চায়ের দোকানে হাঁক পাড়লেন জটিলবাবু। ‘সবাইকে চা দিয়ে দাও।’ চা খাওয়ার পরেই কর্মীদের বললেন, যে যাঁর কাজে চলে যান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.