পঞ্চায়েতের শেষ পর্বের প্রচারে উত্তরবঙ্গের তিন প্রতিপক্ষ দলের চাপানউতোরের সুর ক্রমশ যেন চড়ছে। একদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরে রাজ্যে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায়, সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব একাধিক সভা করেছেন। কংগ্রেসের তরফে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া, দীপা দাশমুন্সি যথাক্রমে উত্তর দিনাজপুর ও জলপাইগুড়িতে একাধিক সভায় যোগ দেন। বামেদের তরফে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য চোপড়ায় মিছিল ও সমাবেশে যোগ দেন। |
ময়নাগুড়িতে মানস ভুঁইয়া তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘অত্যাচারী দল’ বলে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, “সিপিএমকে আমরা স্বৈরাচারী বলে জানি। কিন্তু, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি তৃণমূল সিপিএমের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে।” বামেদের তরফে কংগ্রেস-তৃণমূল উভয়ের জন্যই রাজ্য ক্রমশ রসাতলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অশোক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “রাজ্যে উন্নয়নের নামে শুধুই উৎসব হচ্ছে। সেই টাকা কোথায়, কাদের পকেটে যাচ্ছে মানুষ বুঝতে পারছেন। কংগ্রেস আমলে পঞ্চায়েতের অস্তিত্ব ছিল না, গ্রামের মানুষের অধিকার বামেদের আমলেই সুরক্ষিত হয়েছিল। এখন সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। মানুষ তা বরদাস্ত করবেন না। এবারের ভোটে কংগ্রেস তৃণমূলকে মানুষ সেটা বুঝিয়ে দেবেন।” |
বামেরা তো বটেই, চা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারে কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার কোনও কাজ করেনি বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জলপাইগুড়ির ৩টি এলাকায় সভা করেন তিনি। সভায় উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সমতলে অনুন্নয়ন, এলাকার গরিব মানুষের দুর্দশার প্রসঙ্গ টেনে এনে কংগ্রেসকে দূষেছেন তিনি। |
তাঁর দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আস্থা রেখে বামেদের মানুষ ক্ষমতাচ্যূত করেছেন। এবার কেন্দ্রের কংগ্রেসের পালা।” তিনি কংগ্রেসকে ‘ডুবন্ত তরী’ বলে কটাক্ষ করেন। এ দিন রাজাডাঙ্গা, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির শান্তিনগর এলাকার জনসভায় শুভেন্দু যেমন কংগ্রেসের তুলোধোনা করেন, তাঁদের সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য কী কাজ করেছে তাঁর ফিরিস্তিও দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “বামফ্রন্ট ভোট নিয়েছে। কোনও কাজ করেনি।” |
সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |