ছাড় মিলল না নিরপরাধ শিশুদেরও।
বাড়ির সামনেই বোমা বিস্ফোরণে আহত হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী সেরিনা সুলতানার ছেলে আব্দুল আজিজ ও তাঁর জায়ের দুই সন্তান মামন শেখ ও আফসানা খাতুন। মামন ও আফসানার মা সাজেরা বিবি বলেন, “ভোট দিতে গিয়েছিলাম বাড়ির সবাই। আমার ছেলেমেয়ে বড় জা সেরিনার এক ছেলের সঙ্গে বাড়িতে খেলা করছিল। ভোট দিয়ে বাড়িতে ঢুকতে যাব, তখনই বোমার শব্দ। দৌড়ে গিয়ে দেখি উঠোনে তিন জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।” |
মালদহ হাসপাতালে জখম শিশুরা। সোমবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক। |
সকাল ১০টা নাগাদ মালদহের কালিয়াচকের বীরনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের লালুটোলার নতুনহাট গ্রামে এই ঘটনার পরে ওই তিন শিশুকে সঙ্গে সঙ্গে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। আব্দুল আজিজকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই তিন শিশু হিংসার রাজনীতির শিকার হওয়ায় নিন্দা করেছে সব দলই। কিন্তু এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকানোর নিশ্চয়তা কোনও তরফ থেকেই মেলেনি।
বরং তারা দোষ চাপিয়েছে একে অপরের ঘাড়ে!
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাতে নুরজাহান বিবি (৩৩) নামে এক মহিলা বোমার আঘাতে মারা গিয়েছেন। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বেলডাঙা ও কালিয়াচকের ঘটনা নিন্দার ভাষা নেই।” রাজ্যসভার দলের মুখ্য সচেতক ডেরেক ও’ব্রায়েনও এ দিন কালিয়াচকের ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন, “ওখানকার এসপি বলেছেন, তদন্ত হবে। এইটুকু বলতে পারি, কারও কাছে বোমা ছিল। কিন্তু আমাদের দলের কাছে ছিল না।”
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতেই বোমা মজুত ছিল। তাঁর প্রশ্ন, যাঁর বাড়িতে বোমা ফেটেছে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছেন। |