ডার্বি ম্যাচ এলেই আই এফ এ কর্তারা হয় কেরল, গুজরাত বা সার্ভিসেসের রেফারিদের শরণাপন্ন হন। আনেন বিদেশি রেফারিও।
কিন্তু যেটা আশ্চযের্র তা হল, এ বারের আই লিগ খেলানোর জন্য ৬৫ জনের যে তালিকা রবিবার ফেডারেশনের রেফারিজ বোর্ড প্রকাশ করেছে তাতে সবথেকে বেশি রেফারি সুযোগ পাচ্ছেন বাংলা থেকেই১০ জন। বাংলা পিছনে ফেলে দিয়েছে কেরল (৯), গোয়া (৮)-কে। আই লিগের ইতিহাসে প্রথমবার গোয়ার মেয়ে রেফারি মারিয়াম রেবেলোর বাঁশি মুখে মাঠে নামার মতোই যা নজিরবিহীন।
দিল্লি থেকে রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম কর বলেন, “এর আগে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের টুর্নামেন্টে বাংলার এত রেফারি সুযোগ পাননি। এটা রেকর্ড। ওদের মধ্যে দু’তিন জন খুব ভাল করছে।”
আই লিগ, ফেড কাপ, সন্তোষ ট্রফি এবং ফেডারেশনের টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স দেখে রেফারিদের পয়েন্ট দেন অ্যাসেসাররা। নজর রাখেন ম্যাচ কমিশনাররাও। সব দিক বিবেচনা করেই হয় তালিকা। এ বার সেখানে নাম উঠেছে বিপ্লব পোদ্দার, প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ধর, অজিত দত্ত, সুব্রত বর্মন, রনজিৎ বক্সি, তন্ময় ধর, কুনাল সরকার, সমর পাল, অসিত সরকারের।
নিয়ম অনুযায়ী ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান বা ইউনাইটেডের ম্যাচে বাংলার রেফারিরা খেলাতে পারেন না। গোয়া, মুম্বই, পুণের দলগুলির ম্যাচ খেলাতে হয় তাদের। ফলে সে ভাবে প্রচারের আলোয় আসেন না বাংলার রেফারিরা। কিন্তু রেফারি কমিটির সদস্যরা যা হিসেব দিচ্ছেন তাতে প্রবীর-প্রাঞ্জলদের নাম ফিফা রেফারি হিসেবে পাঠানোর সম্ভাবনা প্রবল। ফিফায় ভারতের যে চার জন রেফারি এ বার আছেন তাদের মধ্যে তামিলনাড়ুর শ্রীকৃষ্ণ বাদ যেতে পারেন। ফিফায় ভারতের কোটা ছয় জন। ফলে তিন জন নতুন ফিফা রেফারি পেতে পারে ভারত।
বাংলার রেফারিরা সর্বভারতীয় স্তরে এত ভাল পারফর্ম করা সত্ত্বেও কলকাতার ডার্বি ম্যাচে তাদের উপর আস্থা রাখতে রাজি নন আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। মানতে চাননি ইস্ট-মোহন কর্তাদের চাপের কথাও। উৎপলবাবু বললেন, “ওরা এখনও বড় ম্যাচ খেলানোর মতো অভিজ্ঞ হয়নি বলে বাইরের রেফারি আনতে হচ্ছে। ওরা অভিজ্ঞ হলে তখন ব্যবহারের কথা ভাবব।” যা শুনে সর্বভারতীয় রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান গৌতমবাবু হাসতে হাসতে বললেন, “উৎপলবাবুদের সমস্যা বুঝি। বড় দলের চাপ থাকে। স্থানীয় রেফারিরা কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নিলে সেটা নিয়ে ঝামেলা হয়। বাইরের রেফারি আনলে সেটা হয় না।” |