|
|
|
|
ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা |
ধৃত মহিলার পুলিশ হেফাজত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুলছাত্রীকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত মহিলার পুলিশি হেফাজত হল। ওই মহিলা ছাড়াও এই ঘটনায় ধরা পড়েছে ওই স্কুলছাত্রীর এক সহপাঠিনী। ধৃত দু’জনকেই নিজেদের হেফাজতে চেয়ে মেদিনীপুর আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ। অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, সহপাঠিনী নাবালক। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও তিনি আদালতে জমা দেন। সব খতিয়ে দেখে আদালত ধৃত কিশোরীকে হোমে রাখার নির্দেশ দেয়। তার বিচার হবে জুভেনাইল কোর্টে। আর ধৃত মহিলার ২৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
গত ১৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল খড়্গপুর ইন্দার বাসিন্দা নন্দিনী সিংহ নামে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পরিবারের পক্ষ থেকে খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। গত শুক্রবার রাতে খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে নন্দিনীকে উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে ছিল তার সহপাঠিনী দুর্গা ইল্লি এবং সোমা দে নামে এক মহিলা। দুর্গার বাড়ি কৌশল্যায়। সোমার সাঁজোয়ালে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুর্গার বাবা অশোক ইল্লি এবং মা ঝুন্নু ইল্লিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, নন্দিনীকে মুম্বইয়ে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। নন্দিনীর ছিল নায়িকা হওয়ার শখ। কিছু দিন আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে তার মনোমালিন্যও হয়। সে কথা দুর্গা জানত। সুযোগ বুঝে সে নন্দিনীকে মুম্বই যাওয়ার কথা জানায়। বলে ওখানে আত্মীয়বাড়ি রয়েছে। প্রস্তাবে রাজি হয় নন্দিনী। পুলিশের অনুমান, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সোমার পরিচিত কারও বাড়িতে নন্দিনীকে রাখা হয়েছিল। পরে মুম্বইয়ে পাচারের পরিকল্পনা ছিল। সোমবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে ধৃত চারজনকেই হাজির করা হয়। দুর্গার বাবা-মাকে ৩ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। |
পুরনো খবর: সহপাঠিনীকে পাচারের চেষ্টা, গ্রেফতার চার |
|
|
|
|
|