জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের তলবে হাজিরা দেননি। তাই পুরীর দূষণ নিয়ে একটি মামলায় ওড়িশার পরিবেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও দু’জনের বিরুদ্ধে একই ধরনের পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।
পুরীর মন্দির, স্বর্গদ্বার শ্মশান এবং পুরীর সমুদ্রতটের পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলে গত ১ মে গ্রিন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলারই শুনানিতে হাজিরা না-দেওয়ায় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি স্বতন্তর কুমারের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সোমবার ওড়িশার পরিবেশমন্ত্রী বিজয়শ্রী রাউতরায় ছাড়াও পরিবেশ-সচিব আর কে শর্মা এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের ডিরেক্টর জেনারেল প্রবীণ শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে ২০ হাজার টাকার জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। |
সুভাষবাবুর অভিযোগ, পুরীর সমুদ্রতটে উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষার বিধি না-মেনেই উন্নয়নের কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, খোলা জায়গায় বহু লোকের রান্না হওয়ায় পুরীর মন্দির এবং তার আশপাশের এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। জনবহুল এলাকায় স্বর্গদ্বার শ্মশানে খোলা আকাশের নীচে শব দাহ করার জন্যও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এই নিয়েই জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন সুভাষবাবু।
ওড়িশা সরকার, পুরী মন্দির পরিচালন কমিটি, পুরী পুরসভা এবং পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ গত ২৮ মে ওই মামলায় যুক্ত হয়। পরে সুভাষবাবুর আবেদনের ভিত্তিতে মামলায় যুক্ত করা হয় ওড়িশা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও। এ দিন শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল জানায়, পুরীর দূষণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন মামলায় সশরীরে হাজিরা না-দেওয়াটা দায়িত্বজ্ঞানহীনের কাজ। তাই জারি করা হল। ২৩ অগস্ট মামলাটির ফের শুনানি হবে।
সুভাষবাবু জানান, পুরীর দূষণ নিয়ে ওড়িশা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
|