লড়াইটা ছিল সম্মান রক্ষার। কিন্তু নির্বাচনের দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর সেই সম্মান আদৌ বজায় থাকবে কি না সেই নিয়ে ঘোর সংশয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেই। প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ নন, সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি, সিপিএমের অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়। যিনি এ বার জেলা পরিষদের ৯ নম্বর আসনে লড়লেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা ইলামবাজার ব্লকের সভাপতি জাফারুল ইসলামের সঙ্গে। |
ভোট দিচ্ছেন প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
প্রসঙ্গত, জাফারুলের নেতৃত্বে ইলামবাজার ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ১৪২ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতিমধ্যেই জয় পেয়ে গিয়েছেন। ফলে জেলা পরিষদের ওই আসনটির জেতা-হারার সঙ্গে এক দিকে যেমন শাসকদলের দাপুটে নেতার মান সম্মান জড়িত, ঠিক তেমনই ত্রি-স্তর নির্বাচনে ইলামবাজার ব্লকের বিরোধী দলের এক মাত্র মুখ ছিলেন অন্নপূর্ণাদেবী। যিনি নিজেই বলছেন, যে জন সমর্থন ছিল স্বাভাবিক ভোট হলে তাঁর জয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু সেটা হতে দেয়নি তৃণমূল। সংশয় সেখানেই। অন্নপূর্ণাদেবীর অভিযোগ, “নিজে ভোট দিতে পারলেও তৃণমূলের ক্রমাগত সন্ত্রাস ও হুমকির সামনে দলের সমর্থক থেকে কর্মী সকলেই কুঁকড়ে গিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেই পারেননি কেউ।” অন্নপূর্ণাদেবীর আরও আক্ষেপ, এলাকায় একটিও দেওয়াল লিখন করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। ফেস্টুন সব ছিঁড়ে ফেলেছে। এমনকী ভোটের দিন জেলা পরিষদের ওই আসনটির ৭০টির বুথের কোনওটিতেই তাঁর দলের নির্বাচনী এজেন্টকে বসতেই দেওয়া হয়নি বলে আভিযোগ প্রাক্তন জেলা সভাধিপতির।
এতো যখন অভিযোগ তা হলে প্রশাসনকে জানালেন না কেন? অন্নপূর্ণাদেবীর উত্তর, “প্রশাসনের সকল স্তরে অভিযোগ করেও নিট ফল শূন্য।” আর যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ শাসক দলের সেই নেতা ও প্রতিদ্বন্দ্বি জাফারুলে ইসলাম বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কেউ যদি জন সমর্থন না পান, এজেন্ট দিতে না পারেন তার দায় কী আমাদের। আসলে সিপিএমের যে সংগঠন ইলামবাজার ব্লকে ছিল, সেই সংগঠনের লেশ মাত্র অবশিষ্ট নেই। মিথ্যা দোষারোপ করে কী হবে।” |