এলাকায় দুপুরের দিকে ভোটের লাইনে ভিড় একটু পাতলা। তাই দেখে এক যুবক আচমকা ছুট মারলেন পাড়ার দিকে কোনও অঘটনের বিষয় বুঝে। বুথের দায়িত্বে থাকা জওয়ান, পাহারাদার ও টহলদারি গাড়ির জওয়ানরা ‘পজিশন’ নিয়ে প্রস্তুত। মিনিট পনেরো পরে খাটিয়া করে বুথ মুখো চার জওয়ান ছেলে। খাটিয়ার ওপর বিরাজমান করছেন সাদা ধপধপে শাড়ি পরিহিতা এক বৃদ্ধা। ‘অদ্ভুত সওয়ারি’। করে জিজ্ঞেস করতেই, মুচকি হেসে নাপিতপাড়ার বাসিন্দা ঊষারানি গুঁই জবাব দিলেন, “বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই। চলা ফেরা করতে পারিনে। তাই বলে কি ভোট থেকে বাদ যাব?” ‘আবার আসব, দেখা হবে’ ফেরার পথে জানিয়ে গেলেন বৃদ্ধা। শুধু কি তিনি? ফের খাটিয়া চলল দক্ষিণ পাড়ায়। এ বার ৭৬ বছরের বৃদ্ধ দিবাকর ভোমিকের পালা। বয়স হলেও তেজ কমেনি। চাউনিতে তিনি বুঝিয়েও দিলেন।
|
কসবা পঞ্চায়েতের কসবা গ্রাম। ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা। পুরনো গ্রামপঞ্চায়েত দফতরে হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বুথ। বুথের বাইরে দুই জওয়ান। আশপাশে ওই বাহিনী-সহ রাজ্য পুলিশের টহলদার ভ্যানের আনাগোনা। কয়েক ফুট দূরে তৃণমূলের কসবা অঞ্চলের নেতা (বিক্ষুব্ধ নেতা) নারায়ণ ভাণ্ডারীর পুকুর। নারায়ণবাবু ছিপে মাছ ধরায় ব্যাস্ত। তাঁর উক্তি, “মাছ কিছু কিছু ছোট আছে। আমার পুকুর তো। দেখে নিচ্ছি মাছ কবে বড় হচ্ছে।” কিন্তু কয়েক ঘণ্টা আগে আপনারই প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে কে বা কারা ওঁনার বাবাকে গুলি করল, আর আপনি এত নিরুত্তাপ? নারায়ণবাবু বলেন, “জানেন, আমাদের এখানে হোমগার্ড় দু’জনকে দিয়ে ভোট পর্ব মিটে যায়। বড় শান্তিপূর্ণ জায়গা ছিল। কিন্তু এ বার অন্য আশঙ্কায় ছিলাম। ভোট পর্ব শান্তিপূর্ণ, তাই মাছে মন দিয়েছি।”
|
আমোদপুর। ছোটো লাইন পাড়ার ১০ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে ভোটগ্রহণ বাতিল করা হল। অভিযোগ, সকাল ১০.৪০ মিনিট নাগাদ তৃণমূলে প্রার্থী জ্যোত্স্না বিবি দেখেন পাশের একটা বুথে এক তৃণমূল সমর্থক ছাপ্পা ভোট দিচ্ছেন। এই দেখে তাঁর অনুগামীরা অনুগামীরাও উত্সাহিত হয়ে ছাপ্পা ভোট দিতে যান বলে অভিযোগ। তখন তাঁদের বাধা দেন ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার। তিনি পর্যবেক্ষককে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান। ওই বুথে আগামী ২৫ জুলাই ভোট হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
|