শিলিগুড়ির জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই শহরে বসানো নিম্নমানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার সবগুলিই ঠিকাদার সংস্থা বদলে দিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ করে বসানো ক্যামেরার মান এবং ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তা নিয়ে তদন্তও চলছে। অথচ এসজেডিএ কর্তৃপক্ষই এক মাস সময় দিয়ে ক্যামেরাগুলি যথাযথ রয়েছে কি না তা বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদার সংস্থাকে সম্প্রতি জানায় বলে অভিযোগ। সেই সুযোগকে ব্যবহার করেই তদন্তের মাঝপথে ঠিকাদার সংস্থা ক্যামেরাগুলি বদলে দিয়েছে।
বর্তমানে যে ক্যামেরাগুলি লাগানো হয়েছে সেগুলি পি-টি-জেড মানের ক্যামেরা। দেখতে গোলাকৃতি। এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এমন ৪ টি মাত্র ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল শিলিগুড়িতে। বাকি ক্যামেরাগুলি ছিল ‘বক্স’ আকৃতির। যার গুণমান ততটা উন্নত ছিল না। অথচ প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ করার জানানো হলেও কম দামি ওই ক্যামেরার মান এবং ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সে ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসজেডিএ মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শরৎ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, ক্যামেরা বদলে দেওয়ার কথা সংস্থাকে তাঁরা কখনই জানাননি। অথচ তার পরেও কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্যামেরা বদলে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এসজেডিএ গুরুত্ব দেয়নি কেন সে ব্যাপারে ওই আধিকারিক সদুত্তর দিতে পারেননি। দু দিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন পুলিশকে বলে কাজ বন্ধ করা হবে। আদতে সেই কাজও হয়নি বলে অভিযোগ।
ঠিকাদার সংস্থাকে ভুল শোধরানোর কেন সুযোগ করে দেওয়া হল এবং এখনও দফতরের তরফে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কেন পুলিশে এফআইআর করা হচ্ছে না তা নিয়ে বিরোধী বামেরাও সরব হয়েছে। তাদের দাবি, এসজেডিএ’র আধিকারিকদের একাংশই ঠিকাদার সংস্থাকে ওই সুযোগ করে দিয়েছে। নিজেদের দোষ ঢাকতেই তারা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করছেন না। বিরোধী বামেদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতাদের একাংশও এর সঙ্গে যুক্ত। তাদের আড়াল করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। |