ঝোপে মিলল তরুণের দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে, বারাসত থানা এলাকার মধ্যমগ্রামে রাস্তার ধারের একটি ঝোপে দেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত বিশাল সর্দার (১৯) দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা। শনিবার রাত থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের গলা, হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাবা। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, দমদমেরই বাসিন্দা দিলীপ সাউ নামে এক ব্যক্তির অটো চালাতেন বিশাল। রোজকারের মতো শনিবারও রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ির কাছাকাছি এক গ্যারাজে অটো রাখেন তিনি। তার পর থেকেই বিশালের কোনও খোঁজ মেলেনি। রবিবার ভোরে দমদম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বিশালের বাবা দীপঙ্কর সর্দার। এ দিন সকালে মধ্যমগ্রামে ঝোপ থেকে এক তরুণের দেহ উদ্ধার করার পরে বারাসত থানার পুলিশ দমদম থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। দেহটি তাঁর ছেলে বিশালের বলে শনাক্ত করার পরে অটোর মালিক দিলীপ সাউয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন দীপঙ্করবাবু। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বেশ কিছু দিন ধরেই টাকার হিসেব নিয়ে মালিকের সঙ্গে বিশালের ঝামেলা চলছিল। সেই ঝামেলার জেরেই বিশালকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগে দাবি করেছেন দীপঙ্করবাবু। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দিলীপ পলাতক। তবে পুলিশ জানিয়েছে, বিশাল খুন হয়েছেন নাকি এটি নিছকই দুর্ঘটনা, ময়না-তদন্তের আগে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
|
মারধরে গ্রেফতার ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়দিঘি |
তৃণমূল নেতা-সহ কয়েক জনকে মারধরের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে রায়দিঘির কৌতলা গ্রাম থেকে ধরা পড়ে সাদ্দাম পেয়াদা, ইয়াজুদ্দিন পেয়াদা ও মহম্মদ মফিজুল। রবিবার তাঁদের ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ কৌতলা গ্রামের মজজিতে ইফতারের খাওয়া-দাওয়া হচ্ছিল। সে সময়ে দু’দল লোকের ঝামেলা বাধে। গোলমাল বাড়তে থাকায় গ্রামের বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ আবদুল রউপ। লাঠির ঘায়ে মাথা ফাটে তাঁর। জখম হন দু’পক্ষের আরও জনা আটেক। রউপকে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে। রউপের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (পশ্চিম) অলোক রাজোরিয়া বলেন, “জমিজমা নিয়ে পুরনো বিবাদের জেরেই মারপিট বেধেছিল।”অন্য দিকে, শনিবার রাতে সাগরের রুদ্রনগর বাজারে তৃণমূলের মিছিলে হামলার অভিযোগে ৬ জন সিপিএম সমর্থককে ওই রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
|
দেগঙ্গার গ্রামে চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • দেগঙ্গা |
বাড়িতে হানা দিয়ে গয়না-বাসনপত্র সহ কয়েক লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার চৌরাসি গ্রামে। পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির লোকজন শুক্রবার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন গৃহকর্তা গৌতম বিশ্বাস। সশস্ত্র সীমা বল কর্মী গৌতমবাবু ভোট দেওয়ার ছুটি নিয়ে এসেছিলেন বাড়িতে। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ লোডশেডিংয়ের কারণে তিনি বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে পাশে বড়দার বাড়িতে শুতে যান। রবিবার সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন, ছাদের গ্রিলের গেট ভাঙা। বাড়ির সাতটি ঘর ও আলমারির তালা ভাঙা। উধাও হয়েছে ঘরের ভিতরে থাকা প্রায় কয়েক ভরি সোনা-রুপোর গয়না, ৬ কুইন্ট্যাল পিতল-কাঁসা, নগদ টাকা। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
|
সম্পত্তি হাতানোর জন্য দুশ্চরিত্রা অপবাদ দিয়ে এক বিধবা মহিলাকে মারধর করে ন্যাড়া করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার পুলিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন ডায়মন্ড হারবারের নবাসন গ্রামের ওই মহিলা। মাস চারেক আগে মহিলার স্বামী মারা যান। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ তোলেন, ওই মহিলার সঙ্গে গ্রামের এক যুবকের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক আছে। সেই কারণেই তিনি স্বামীকে খুন করিয়েছেন। তারপর থেকে ওই বধূ নেতড়া গ্রামে বাপেরবাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার তিনি নবাসনে ভোট দিতে আসেন। সে সময়ে শ্বশুর ও দুই জা তাঁর উপরে ওই অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। মহিলা বলেন, “শ্বশুরবাড়িতে আমার ভাগের সম্পত্তি হাতানোর জন্যই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অত্যাচার চালানো হল।”
|
শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল বারাসত থানার কোটরা এলাকা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। হামলা হয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। ভাঙচুর হয়েছে কয়েকটি দোকান। জখম দু’পক্ষের কয়েক জন। ৫ জনকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ছবিতে, ভাঙচুর হওয়া তৃণমূল কার্যালয়।
|
গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ত্রিদিব মাল (২২) নামে এক যুবক। শনিবার রাতে সাগরদিঘির মাঠখাগড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক গলায় ফাঁস লাগায়। পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে। স্ত্রীর সঙ্গে বচসার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। |