এক কাকাকে খুন করে আর এক কাকার হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ভাইপোর বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে এক প্রতিবেশীকেও কোপায় ওই যুবক। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর পরগনার হাসনাবাদ থানার থুবার চৌরঙ্গীর কাছে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে। অভিযুক্ত শেখর দাস ওরফে বাপ্পা ও তার বাবা প্রতীক দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতীকবাবুরা তিন ভাই। একটি জমির দখলকে কেন্দ্র করে মেজো ভাই জয়ন্ত ও ছোট ভাই অনন্তর সঙ্গে গোলমাল চলছিল প্রতীকবাবুর। ঘটনার দিন সন্ধে ৭টা নাগাদ তিন জনের বচসা বাধে। তা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। বাবাকে দুই কাকা মারধর করছে জানতে পেরে চলে আসে বাপ্পা। সে পেশায় কাঠের মিস্ত্রি। কাছেই তার দোকান। সেখান থেকেই একটি দা হাতে নিয়ে ছুটে আসে ওই যুবক।
অভিযোগ, দুই কাকাকে এলোপাথাড়ি কোপায় সে। অনন্ত দাসের (৪২) শরীরে একাধিক কোপ পড়ে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে তাঁকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন জয়ন্ত। বাপ্পার দায়ের কোপে ডান হাতটি কেটে পড়ে যায় মাটিতে।
তত ক্ষণে আশপাশে লোক জমে গিয়েছে। তাঁদেরই মধ্যে দুর্গা মিত্র নামে এক জন এগিয়ে এলে তাঁকেও কোপায় বাপ্পা। খবর পেয়ে হাসনাবাদ থানার পুলিশ আসে। জখম তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয় টাকি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা অনন্তবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গ্রেফতার করা হয় বাপ্পা ও তার বাবাকে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। জয়ন্তবাবু ও দুর্গাবাবুকে পরে পাঠানো হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার ধৃত দু’জনকে বসিরহাট এসিজেএম আদালতের বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। |