|
|
|
|
তৃণমূলের শহিদ স্মরণ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দুই মেদিনীপুরেই শহিদ দিবস স্মরণ করল তৃণমূল। রবিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা কর্মসূচি হয়। কোথাও দলের পতাকা উত্তোলন করে কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করেছেন। কোথাও হয় পথসভা। মেদিনীপুর, খড়্গপুর, নারায়ণগড়, ডেবরা, শালবনি থেকে শুরু করে সবং, পিংলা, কেশপুর, গড়বেতা এবং অবশ্যই জঙ্গলমহল, সর্বত্রই ছিল এক ছবি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “প্রতিটি বুথে শহিদ দিবস পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই কর্মসূচি হয়েছে। সর্বত্র দলের পতাকা উত্তোলন করে কর্মসূচি শুরু হয়েছে।”
জঙ্গলমহলের প্রাণকেন্দ্র লালগড়ের নেতাই গ্রামেও ২১ জুলাইয়ের স্মরণ অনুষ্ঠান হয়। লালগড় ব্লক তৃণমূল আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, লালগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বনবিহারী রায়, ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি তন্ময় রায়, দ্বারিকানাথ পণ্ডা প্রমুখ। নেতাই গ্রামের ‘শহিদ বেদি’তে মালা দিয়ে সুকুমারবাবু বলেন, “দুর্বৃত্তেরা ফের অশান্তি পাকানোর ছক কষছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সেটাই হবে শহিদদের প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধা।” ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি তন্ময় রায় বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের ফলে ফের প্রমাণ হয়ে যাবে জঙ্গলমহলবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই আস্থা রেখেছেন। নেতাইদের ‘শহিদদের’ আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না।” |
|
ভুলি নাই। শহিদ দিবসে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মেদিনীপুরে মিছিল। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
প্রতি বছর ২১ জুলাই ধর্মতলায় সমাবেশ করে তৃণমূল। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে জড়ো হন। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচন চলায় সমাবেশ হয়নি। তবে প্রতি জেলায় শহিদ দিবস পালন করার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো রবিবার সকাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। মেদিনীপুরের পঞ্চুরচকে শহিদবেদির কাছে সকালে অনুষ্ঠান হয়। নেতৃত্ব মাল্যদান করেন। ছিলেন দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত্ ঘোষ। মিছিলও হয়। মিছিল শেষে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে এক সভায় হাজির ছিলেন বিধায়ক মৃগেন মাইতি, দলের শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যা প্রমুখ। খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও এ দিন নানা কর্মসূচি হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় শহিদ স্মরণ। রবিবার সকালে তৃণমূলের তমলুক শহর কমিটির উদ্যোগে শহরের হাসপাতাল মোড়ে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করা হয়। আয়োজন করা হয় রক্তদান শিবিরের। ৬২ জন রক্তদান করেন। সকালেই তমলুক শহরের মানিকতলা মোড়ে স্মরণসভা হয়। ছিলেন তমলুকের উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, তৃণমূল জেলা সভানেত্রী শিখা মাইতি। ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কমিটির উদ্যোগে শহরের রামসীতা বারোয়ারি হলের সামনে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করা হয়। এ ছাড়াও শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে, নিমতৌড়িতে, চণ্ডীপুর বাজারে, ময়নায় নানা অনুষ্ঠান হয়। |
|
|
|
|
|