এক অর্থলগ্নি সংস্থা পরিচালিত পলিক্লিনিক থেকে বেশ কিছু নথিপত্র আটক করল পুলিশ। রবিবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ‘বর্ধমান সানমার্গ পলিক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগোনস্টিক সেন্টার’ থেকে ভাড়া গাড়িতে করে জিনিসপত্র সরানো হচ্ছে বলে এক আমানতকারী অভিযোগ করেন। তার পরেই পুলিশ ওই গাড়ি, নথিপত্র ও সংস্থার একটি নম্বরহীন অ্যাম্বুল্যান্স আটক করে।
গত বুধবার ওই লগ্নি সংস্থার কার্যালয়ে আমানত ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বেশ কিছু আমানতকারী। সোমনাথ রুজ নামে এক আমানতকারী সিটি সেন্টার ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন, তাঁর পাওনা এক লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সংস্থার চার কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে। এরই মধ্যে এ দিন সংস্থার পলিক্লিনিক থেকে নথি সরানোর অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থাটি যাতে কোনও নথিপত্র সরাতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশের পাশাপাশি নজর রাখছেন আমানতকারীরাও। রবিবার দুপুরে তেমনই এক জন পুলিশকে খবর দেন, ভাড়া গাড়ি করে নথি সরানোর চেষ্টা চলছে সংস্থার পলিক্লিনিকে। এর পরেই পুলিশ অভিযান চালায়। উদ্ধার হওয়া নথি দেখে পুলিশ জেনেছে, ‘হসপিট্যাল বন্ড’-এর সাহায্যে বাজার থেকে আমানত তোলা হয়েছে। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অর্থ জমা করার পরিবর্তে আমানতকারীকে চিকিৎসা পরিষেবা ও এককালীন জমা মোটা অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই টাকা তোলা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। তবে এ দিন ওই পলিক্লিনিকে কোনও কর্মীর দেখা না মেলায় সবিস্তার কিছু জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, গাড়িটি কলকাতা থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল। চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। |