পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষিতার সম্পর্কে কটূক্তি করা থামাচ্ছেন না তৃণমূলের সাংসদরা। বীরভূমের সাঁইথিয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে শনিবার তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী মন্তব্য করেন, “ওই ভদ্রমহিলা মদ খেয়ে টলমল করতে করতে ছ’জনের নাম বলেছিলেন। তাঁদের মধ্যে চার জনই দেশের বাইরে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন বলেই আসামি ধরা পড়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তার বিচার চলছে।” ওই মহিলা সম্পর্কে আগেও আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলেরই আর এক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ঘটনার পরে তৃণমূলের কিছু নেতা-মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরেও বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। সম্প্রতি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের একের পর এক কিছু মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জোর শোরগোল চলছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুক্রবার জেলায় প্রচারে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তাঁকে বিশেষ দেখা যায়নি। কিন্তু এ দিন সাঁইথিয়ায় সভার মাঝে তাঁকে ঢুকতে দেখে শিশিরবাবু মাইকে অনুব্রতবাবুকে বীরভূমের ‘অবিসংবাদিত নেতা’ এবং বাংলার ‘লড়াকু নেতা’ বলে সম্বোধন করেন। বক্তৃতার বাকি অংশেও তিনি মাঝে মধ্যেই অনুব্রতবাবুর নাম উচ্চারণ করেন। অনুব্রতবাবুও বক্তৃতায় বলেন, “শিশিরবাবু আমার পিতৃতুল্য।” এ দিন অবশ্য তাঁর বক্তৃতা অনেক সংযত ছিল।
পুরনো খবর: আনিসুর-নিন্দা জারি, কাকলিকে ছাড় দলের |
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের জরুরে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী আবু সইদ মোল্লাকে শনিবার দুপুরে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ওই প্রার্থীর অভিযোগ, এ দিন দুপুরে প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার সময় স্থানীয় কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী বাঁশ, লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমার চিৎকার শুনে ভাইপো আব্দুল গনি বাঁচাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আক্রোশেই ওরা এই কাজ করেছে।” আহত প্রার্থী ও তাঁর ভাইপোকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রহৃত প্রার্থী আবু সইদ মোল্লা বিগত নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে লড়েছিলেন। বছর খানেক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ওই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ সিংহ বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। গ্রাম্য বচসার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে।” |