আনিসুর রহমান প্রসঙ্গে সমালোচনা অব্যাহত রাখলেও কাকলি-কাণ্ড নিয়ে নিন্দার পথে হাঁটছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব।
অতি সম্প্রতি আনিসুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে ক্ষমা করতে রাজি নন। দলের নেতা তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বোলপুরে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আনিসুর অন্যায় বলেছিলেন। মাফ চাইলেন। আবার একই অন্যায় করলেন। এটা ক্ষমা করা যায় না। উনি বদমায়েশি করেছেন। বদমায়েশকে, সমাজবিরোধীকে সমাজে রাখাটা নিরাপদ নয়।” দিল্লির ধর্ষণ কাণ্ডে নিহত তরুণীর স্মরণে এ দিন তমলুকে একটি মিছিলে যোগ দিয়ে রাজ্যের জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও বলেন, “উনি এক বার অশালীন মন্তব্য করে ক্ষমা চেয়ে ফের একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। ওঁর কথা ওঁর দলেরই সংস্কৃতি।”
তবে আনিসুর-বচনের নিন্দা জারি রাখলেও পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষণ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মন্তব্যের সমালোচনা করছে না তৃণমূল। কাকলির বক্তব্য, পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণ হয়নি। ওই মহিলা (ধর্ষিতা) এবং তাঁর খদ্দেরদের গোলমাল। দিল্লির ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে যখন দেশ প্রতিবাদে মুখর, তখন কাকলির ওই মন্তব্য বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে। কিন্তু ফিরহাদের ব্যাখ্যা, “মনে হয় না, ঠিক বিশ্লেষণ হয়েছে। এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। ওই ঘটনাটি একটি বিচারাধীন বিষয়।” কাকলি কি ঠিক বলেছেন? ফিরহাদের জবাব, “অশালীন শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে মনে হয় না। বিতর্কিত ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন।” কাকলির মন্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি বলেন, “যদি সাংসদের কাছে নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকে তবে তিনি দশ মাস চুপ করে ছিলেন কেন? প্রমাণ থাকলে তিনি কেন তা প্রকাশ করছেন না? যুক্তি না থাকায় এখন ব্যক্তিগত কুৎসা করা হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে ভাষা সন্ত্রাস চলেছে।”
সিপিএম নেতৃত্ব সম্পর্কে রাজ্যের কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার একটি মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক হয়। ময়নাগুড়িতে এক সমাবেশে নাম না করে ফব-র কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ এবং কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সিকে আক্রমণ করেন তিনি। বেচারামবাবুর কথায়, “কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের এক নেতা আছেন। তিনি ছাড়া পাবেন না। কংগ্রেসের কোনও নেত্রী ভাবছেন, কপালে বড় টিপ পরলে বড় নেত্রী হওয়া যায়। তা হয় না।” |