কড়া পাহারায় শুরু হচ্ছে শ্রাবণী মেলা |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সোমবার থেকে দেওঘরে শুরু হতে চলেছে শ্রাবণী মেলা। আগামী এক মাস ব্যাপী এই মেলা চলবে। নিরাপত্তার কারণেই এ বারই প্রথম বৈদ্যনাথ তথা বাবাধাম মন্দিরের গর্ভগৃহে পূণ্যার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য প্রশাসন। ফলে এ বছর গর্ভগৃহের বাইরে ডোঙার মাধ্যমে ভক্তদের শিবলিঙ্গে জল দিতে হবে। ‘অর্ঘ্য সিস্টেম’ নামে নতুন এই ব্যবস্থা এ বছর থেকেই চালু করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তারকেশ্বরের আদলেই চালু করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। ভক্তদের ঢালা জল পাইপের মাধ্যমে সোজা শিবলিঙ্গের মাথায় গিয়ে পড়বে।
একই সঙ্গে ভিড় সামাল দিতে এ বার থেকে চালু করা হচ্ছে ‘টাইম স্লট’ ব্যবস্থা। ভক্তরা দেওঘরের রাস্তায়, মন্দির কমিটি এবং প্রশাসনের বিভিন্ন শিবির থেকে টাইম স্লটের জন্য কুপন সংগ্রহ করবেন। কুপনে উল্লেখ করা সময় অনুযায়ী তাঁরা মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে জল ঢালার সুযোগ পাবেন। দেওঘরের জেলাশাসক রাহুল পুরওয়ার জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে দিয়েই মেলার উদ্বোধন করানোর চেষ্টা চলছে। |
|
শ্রাবণী মেলার জন্য প্রস্তুত দেওঘরের বাবাধাম। ছবি: চন্দন পাল |
তা না হলে সোমবার রাজ্যের দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী, রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ আর অন্নপূর্ণাদেবী মেলার উদ্বোধন করবেন।
বিহারের বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মহাবিহারে বিস্ফোরণের পরে এ বার শ্রাবণী মেলায় ও বাবাধাম মন্দির নিরাপত্তার বেড়াজালে কার্যত মুড়ে দেওয়া হয়েছে। মেলা চলার সময় প্রতিদিনই লক্ষাধিক মানুষ মন্দিরে আসেন। জেলাশাসক জানান, পূণ্যার্থীদের বেশে এবারে মন্দিরের ভিতরে সাদা পোশাকের পুলিশ নজরদারি চালাবে। দেওঘর প্রশাসন জানিয়েছে, মন্দিরের বিভিন্ন কোণে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মন্দিরে প্রবেশের প্রতিটি দরজাতেই বসানো হয়েছে ডোরফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর। অন্যান্য বছরের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে মহিলা পুলিশের সংখ্যাও। নিয়মিত পুলিশি নজরদারি চালানো হচ্ছে দেওঘরের হোটেলগুলিতেও। শ্রাবণী মেলায় যাঁরা বাবাধামে আসেন, তাঁরা মূলত বিহারের সুলতানগঞ্জ থেকে গঙ্গার জল নিয়ে নব্বই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে পৌঁছন। |
|