দুর্গাপুরের ‘অ্যাক্সেস মাল্টি ডেভলপার্স লিমিটেড’-এর পলাতক ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং আরও এক ডিরেক্টর শনিবার দুর্গাপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী কাত্যায়ন ভট্টাচার্য ও সত্যব্রত বসু গত আড়াই মাস ধরে পলাতক ছিলেন। অন্য এক ডিরেক্টর এখনও অধরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ এপ্রিল দুর্গাপুর আদালতে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাত্যায়ন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে জমি না দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন অন্ডালের ময়রা গ্রামের বাসিন্দা অজিত কুমার দাস। এর পর বিচারক পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সংস্থার কার্যালয় থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এর আগেই পালিয়ে যান কাত্যায়নবাবু, সত্যব্রতবাবু এবং আর এক ডিরেক্টর সরস্বতী বসু। সংস্থার দুই মহিলা কর্মী-সহ মোট ১০ জন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জেরা করা পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই সংস্থাটি রিয়েল এস্টেট, প্রোমোটারি ছাড়াও মানি মার্কেটিং, জুয়েলারি ও চ্যানেল ব্যবসা করত। এই রাজ্য ছাড়াও সংস্থাটির অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা মিলে সারা দেশে মোট ২৪টি কার্যালয় ছিল। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সংস্থার ৪৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেই সব অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয় পুলিশ। ইতিমধ্যে টাকা নিয়ে জমি না পাওয়ার একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। গয়নার স্কিমে টাকা দিয়ে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
পুলিশ তিন পলাতক কর্তার খোঁজে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। কিন্তু তাঁদের ধরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। ১৯ জুন বিচারক পুলিশকে সে অনুমতি দেন। ৪ জুলাইয়ের মধ্যে ওই তিন জন আত্মসমর্পণ না করলে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে নোটিস দেয় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত শনিবার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাত্যায়নবাবু এবং এক ডিরেক্টর সত্যব্রতবাবু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। |