জামুড়িয়ার মধুডাঙায় তৃণমূল কর্মী রাজকুমার কোড়ার খুনের ঘটনায় শনিবার দুপুরে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হলেন শেখ আমিরুদ্দিন, দীনবন্ধু বাউড়ি ও সাধু বাউড়ি। এঁরা সবাই মধুডাঙার বাসিন্দা। রানিগঞ্জের জেকে নগর বেলিয়াবাথান থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা প্রত্যেকেই এলাকায় সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত। ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফার পঞ্চায়েত ভোটের দিন জামুড়িয়ার মদনপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী মানোয়ারা বিবির স্বামী শেখ হাসমত তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের হাতে খুন হন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার দিনই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শেখ হাসমতের খুনের ঘটনার মিনিট চল্লিশের মধ্যেই পিটিয়ে খুন করা হয় রাজকুমার কোড়া নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে। সেই ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ১৫ তারিখ সকালে মধুডাঙায় পিসির বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজকুমার। তাঁর ভাই কার্তিক কোড়া দাবি করেন, “এলাকায় অপরিচিত বলেই সন্দেহের বশে তাঁর দাদাকে খুন করা হয়েছে।”
|
জমির আল কাটা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বচসার জেরে খুন হলেন এক জন। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আসগর শেখ (৬২)। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোট থানার যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রামের পাশে চক গ্রামে। আসগরের ভাই ইয়াসিন শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুন করার পর ইয়াসিন পালিয়ে যাচ্ছিলেন। মাথরুন গ্রামের কাছ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দুই ভাই আসগর শেখ ও ইয়াসিন শেখের মধ্যে জমি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে অশান্তি চলছিল। এ দিন সকালে খেত জমিতে আল কাটছিলেন আসগর শেখ। সেই সময় আল কাটতে বাধা দেন তাঁর ছোট ভাই ইয়াসিন। দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর পর আচমকা হাতের কাছে থাকা কোদাল দিয়ে ইয়াসিন তাঁর বড় দাদা আসগরের ঘাড়ে কোপ মারেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আসগরের। |